সিলেটর গোয়াইনঘাটে নদী পথে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে বিদেশি চাকুসহ জনতার হাতে আটক ১।
মো.দুলাল হোসেন রাজু জৈন্তাপুর (সিলেট)প্রতিনিধি.
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ১০ নং পশ্চিম আলীর গাও ইউনিয়নের আনন্দ বাজার সংলগ্ন সারি নদীর দক্ষিণ তীরবর্তী স্থানে বালুবাহী ভলগেট আটকিয়ে চাঁদাবাজি করার সময় এক যুবককে আটক করে গোয়াইনঘাট থানায় সোর্পদ করা হয়েছে।আটক যুবকের নাম শাহাদত হোসেন (৩২)সে ৩নং পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের মুসলিম গ্রামের মৃত রকমান খা’র ছেলে।ঘটনাটি ঘটেছে,গত ২১ সেপ্টমম্বর রোববার বিকেল অনুমান ৫টার দিকে। জানাগেছে, সম্প্রতি সময়ে বুধিগাও হাওড় গ্রামের ব্যাবসায়ী জমির হোসেন’বলেন, জৈন্তাপুরের বাওন হাওড় এলাকায় প্রশাসনের নিলামের বালু ক্রয় করে বালুবাহী বলগেট নদী পথে গোয়াইনঘাটের দিকে যাওয়ার সময় ১০নং পশ্চিম আলীরগাঁও ইউনিয়নের আনন্দ বাজার সংলগ্ন সারি নদীতে পৌছামাত্র উৎ পেতে থাকা শাহাদতসহ আরো ৫/৬ জনের একটি সঙ্গবব্দ চক্র তার বালুবাহী বলগেট আটক করে নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে ১০ হাজার টাকা চাদা নিয়ে যায়।বাওন হাওড় গ্রামের ব্যাবসায়ী বলেন শাহাদত তার একটি বলগেট আটক করে ১০ হাজার টাকা চাদাদাবি করে বিভিন্ন মাধ্যমে তাকে বুঝানোর পর তাকে ২ হাজার দিতে হয়েছে। গত ২১ সেপ্টেম্বর রোববার বিকাল অনুমান ৫ টার দিকে বাওন হাওর গ্রমের আমির হোসেন ও শেওলারটুক গ্রামের আকবর হোসেন বলেন, সরকারের নিলামকৃত বাওন হাওড় থেকে ছেড়ে আসা বালুবাহী দুইটি বলগেট সারি নদী পথে ছাতক যাওয়ার সময় আনন্দ বাজার সংলগ্ন সারি নদীর দক্ষিণ তীরবর্তী বুধিগাও হাওড় এলাকায় পৌছামাত্র শাহাদতসহ আরো ৫/৬ জন সন্ত্রসী অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে বলগেট ২টি সীমার বাজার পাশে আটক করে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে ।তাদের দাবিকৃত টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করে বলগেট ২টি সীমার বাজর ঘাটে রেখেই ব্যাবসায়ী আমির হোসেন ও আকবর হোসেন চলে আসেন এবং ঘটনাটি এলাকার লোকজনকে জানায়,এক পর্যায় এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন।বালুবাহী ২টি বলগেট আটকের ব্যাপারে যখন স্থানীয় ব্যাবসায়ী সন্ত্রাসী শাহাদত হোসেনসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্ততী নেয়। এসময় শাহাদত সহ অঙ্গাতনামা আরো ৫/৬ সন্ত্রাসী বিকাল ৫ টার দিকে অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে একটি ইন্জীন চালিত নৌকা যোগে ব্যাবসায়ী আমির হোসেন’র বালুর স্টকে এসে আমির হোসেন ও আকবর হোসেনকে প্রাণে হত্যার হুমকি দেয়। এসময় এলাকার লোকজন সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করে শাহাদত হোসেন কে বিদেশী চাকুসহ আটক করা হলেও অন্যান্য সন্ত্রাসীরা নৌকা যোগে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মোঃ আবকর হোসেন বাদী হয়ে আটক শাহাদত হোসেন সহ অঙ্গাতনামা আরো ৫/৬ জনকে আসামী করে গোয়াইনঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এবং আটক শাহাদত হোসেনকে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন।
এব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার ওসি মো: তরিকুল ইসলাম তালুকদার জানান, জনতার হাতে আটক শাহাদত হোসেন’র বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও চাদাবাজি সহ একাধিক মামলার রয়েছে, সে ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী। তাকে আটক করে থানায় সোর্পদ করায় এলাকার মানুষকে ধন্যবাদ জানান।