সিলেট বুলেটিন ডেস্ক:
সিলেট তামাবিল মহাসড়কে লকাল,বিরতিহীন,বাসের পাশাপাশি উনারা ধাপিয়ে চলতেন। উনাদের সার্ভিসে পথে বানিজ্যিক বাঁধা হয়ে যাওয়ায় বিরতিহীন সার্ভিসটি বন্ধ করে দেন। জনসাধারণ আর্থিকভাবে উনাদের আচরণে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এই রোডে বিরতিহীন বাস সার্ভিস আর চালু হয়নি। গেটলক সার্ভিসের রাতে অবস্থান করা বাসগুলো বিশাল বাস স্ট্যান্ড থাকা সত্ত্বেও নির্দারিত বাস স্ট্যান্ডে থাকেনা। তারা অনেকে এসব বাস জাফলংয়ের মেইন রোডের হাসপাতাল, ইউনিয়ন পরিষদ, মাদ্রাসার আশপাশ,জাফলং ব্রিজের উপর এলোপাতাড়ি করে রাখে। এসব স্হানে রাতের বেলা বাস রেখে বাসের বক্সের ভেতরে মাদকের চালান লোড করা হয়। মাঝে মাঝে প্রাণঘাতি মাদকও(ইনজেকশন জাতীয়) চালানও যায় এসব গেটলক বাসে করে। এমন অবস্থায় রমরমা বানিজ্য চলছিল হরদম হামেশা। কিন্তু বেরসিক পুলিশ বাঁধা হয়ে দাঁড়ালো সেখানে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে জাফলং সিলেট রোডের এই বাসটিতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর সকালেই ২ কার্টুন আমদানি নিষিদ্ধ ভারতীয় চোরাচালানের মাধ্যমে আসা ইনজেকশন জাতীয় মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে বাস চালক,হেলপারসহ জড়িত আরও এক অপরাধীকে। গোয়াইনঘাট থানার এসআই মারুফ আল মুকিত জানান,গতকাল সন্ধ্যায় এ মাদক চালান এই বাসে ঢুকিয়ে রাখা হয়েছে। এ মাদক চালানের গন্তব্য ছিলো সিলেটের হুমায়ুন রশিদ স্কয়ার হয়ে ঢাকাগামী বাস। গেটলক সার্ভিসের চালকের দায়িত্ব ছিলো হুমায়ুন রশিদ স্কয়ার পর্যন্ত। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের অভিযানে গুড়ে বালি হয়ে গেলো গেটলক বাস সার্ভিস চালকের এই মাদক চালান বহনের স্বপ্ন!!!!!!!!!!। গ্রেফতার চালক,হেলপার ও জড়িত আরও ১জনসজ ৩ জন মাদক পাচারকারী।