শিরোনাম
ছাতকে পুলিশের এক অভিযানে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার ৪  মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সাংসদ- ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল ইসলাম খান শান্তর নির্বাচনী প্রচারণা কর্মসূচি বাস্তবায়নে ছাত্রদলের সাথে মতবিনিময় সভা।  মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সাংসদ- ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল ইসলাম খান শান্তর নির্বাচনী প্রচারণা কর্মসূচি বাস্তবায়নে ছাত্রদলের সাথে মতবিনিময় সভা। বিএনপির ৩১ দফা রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের দাবীতে বিশাল মিশিল, পথসভা ও লিফলেট বিতরণ ছাতকের খুরমায় যৌথবাহিনীর অভিযানে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার  হরিরামপুরে জাতীয় পার্টি সহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে -জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ। গোয়াইনঘাটের ডালারপাড় নদীর বালুবাহী নৌকা থেকে ফারুক মেম্বারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর অভিযোগ! ফের গোয়াইনঘাটে বালু লুটের বেপরোয়া হয়ে উঠেছে নেপথ্যে প্রভাবশালী মহল ৫ দফা দাবীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম সুনামগঞ্জ জেলা শাখার বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ সিলেট জেলা তাঁতীদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হানিফ ও কামরুলকে ফুলেল শুভেচ্ছা
সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন

জাফলং সংগ্ৰাম ক্যাম্প সীমান্ত ঘেঁষে চলছে চোরাচালান ব্যবসা-আমি চোরাই মালামাল এনে ব্যবসা করি-ডালিম

স্টাফ রিপোর্টার / ৩৭ Time View
Update : রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

বিশেষ প্রতিবেদক ::

সিলেটের জাফলং সীমান্তবর্তী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ পণ্য চোরাচালানের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ডালিম আহমদ ও তার সহযোগী আলোচিত ব্যবসায়ী ও ৩ নং পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য মান্নান এই চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

ডালিম এক সময় সীমান্তে ছোটখাটো ব্যবসার সাথে জড়িত থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে বিপুল অর্থ-বিত্তের মালিক হয়েছেন। বর্তমানে মান্নানের সঙ্গে অংশীদারিত্বে তিনি সংগ্রাম ক্যাম্পের লালমাটি এলাকা দিয়ে দিনে-রাতে ভারতীয় অবৈধ পণ্য প্রবেশ করাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

চক্রটি প্রশাসনের একটি অংশের সহযোগিতা নিয়েই সীমান্ত দিয়ে মালামাল আনানোমা করছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। বিজিবি ক্যাম্পের পাশেই ডালিম ও মান্নানের মালিকানায় রয়েছে তিনটি কসমেটিকের দোকান।

এ ছাড়া, চোরাচালানে জড়িত অন্যান্যদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করেন তারা। প্রতিটি কাছামাল এবং বিভিন্ন কিট মাল থেকে প্রায় ৬০০ টাকা করে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন চোরাকারবারীরা । চকলেট, কসমেটিকসসহ নানান পণ্য আনার ক্ষেত্রে একই নিয়মে টাকা দিতে হয়।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, চাঁদা না দিলে ডালিম গংরা কারও পণ্য সীমান্ত পার হতে দেয় না। ফলে সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান ব্যবসা এখন একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে চলছে।

বিজিবি ক্যাম্পের পাশেই চলছে ভারতীয় পণ্যের বাণিজ্য !

সীমান্তঘেঁষা এলাকায় অবাধে চলছে ভারতীয় কসমেটিকসের ব্যবসা। স্থানীয় মেম্বার মন্নানের দুই ভাই পরিচালনা করছেন তিনটি কসমেটিকসের দোকান। দোকানে প্রবেশ করলেই দেখা যায় অধিকাংশ পণ্যই ভারতীয়।

অভিযোগ রয়েছে, দোকানে অবৈধ পণ্য মজুত থাকলেও কোনো অভিযান হয় না। বিজিবি সংগ্রাম ক্যাম্পের পাশেই এ বাণিজ্য চললেও ক্যাম্প কর্তৃপক্ষ নীরব।

স্থানীয়দের দাবি, সংগ্রাম ক্যাম্প কমান্ডার থেকে শুরু করে সাধারণ সৈনিক পর্যন্ত প্রভাবশালী ডালিম-মান্নান চক্রের নিয়ন্ত্রণে। তাদের ছত্রচ্ছায়ায় দীর্ঘদিন ধরে চোরাচালানের ব্যবসা চলছে।

মাঝে মধ্যে বিজিবি অবৈধ পণ্য জব্দ করলেও মালিকানা প্রকাশ্যে আসে না। পণ্যের মালিকরা থেকে যান অন্তরালে। ফলে চোরাচালান বন্ধের কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

সূত্র থেকে আরও জানা যায়, সিমান্ত পার হয়ে আসা ভারতীয় এসব পণ্য নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে বা রাস্তায় পুলিশের অভিযান হলে তখন সেই মাল রাখা হয় মন্নান মেম্বারের দোকানে। দিনের বেলা দোকান হলে আভিযানের সময় দোকান হয়ে যায় গোডাউন।

অভিযান শেষ হলে দোকান থেকে অল্প অল্প করে মাল পাঠানো হয় গ্রাহকের কাছে।

প্রতিরাতেই সিলেট সীমান্তে বিজিবির সামনেই নামছে চোরাচালানের পন্য। এসব চোরাচালানে শুধু ভারতীয় পণ্যই থাকছে না, আসছে অস্ত্র ও নিষিদ্ধ মাদক। কয়েকদিন আগে এরকম একটি অস্ত্রের চালান পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বিজিবি।

তামাবিল, সোনাটিলা, স্থলবন্দর, নলজুড়ি, বল্লাঘাট জিরো পয়েন্ট, আমস্বপ্ন ও তালতলা, লালমাটি, নলজুরি সীমান্ত দিয়ে দেশে প্রবেশ করছে ভারতীয় পণ্যের চোরাচালান।

লালমাটি, সংগ্রাম বিজিবি ক্যাম্প, বিজিবি ক্যান্টিন, সাইনবোর্ড, আমতলা এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে আব্দুল মান্নান উরফে মান্নান মেম্বার । এই অংশের বিজিবির নতুন লাইনম্যান গোচ্ছগ্রামের ডালিম আহমদ।

এ বিষয়ে জানতে ডালিমের সঙ্গে মুঠোফোনে আলাপ করলে তিনি বলেন, “আমি বিজিবির লাইনম্যান নই, তবে হ্যাঁ, আমি চোরাই মালামাল এনে ব্যবসা করি।

অন্যদিকে মন্নান মেম্বারের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ