বিশেষ প্রতিবেদক:
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ২ নং পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নে ফের চোরাচালান অস্ত্র ও অবৈধ বালু উত্তোলনের হিড়িক পড়েছে। এসআই মহরম যোগদানের পর থেকে চোরাচালান অস্ত্র ও অবৈধ বালু উত্তোলন শুরু হয়েছে।একক্ষমতাধর এসআই তরিকুল বদলি আরেক ক্ষমতাধর এসআই মহরম যোগদানের ফলে যোগসাজশে মিলেমিশ করে চলেছে,হাজিপুর উওর প্রতাপপুর ও মনরতল পিয়াইন নদী সংগ্লগন এলাকা থেকে অবাধে এখনো লুট হচ্ছে বালু। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র অবৈধভাবে প্রতিদিন লাখ লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলন করে প্রতিফুটে ১০ টাকা হারে টাকা উত্তলন করে আসছে। দিনে রাতে দেদারসে ইজারা বহির্ভূত জায়গা থেকে অবৈধভাবে নৌকা যোগে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উওোলন করায় নদী পাড়ের শত শত বিঘা ফসলী জমি বাড়িঘর হুমকিতে পড়েছে। উপজেলার হাজিপুর এলাকার উওর প্রতাপপুর এবং মনরতল এলাকায় পিয়াইন নদীতে চলছে অবৈধ এ কর্মযজ্ঞ।
অবৈধভাবে বালু লুটের ফলে নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলোতে ভাঙ্গন ঝুঁকিতে রয়েছে। তেমনি ইজারা বহির্ভূত জায়গা থেকে দেদারসে বালু উওোলনের ফলে বিপুল অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে রাজস্ব বোর্ড।স্থানীয়রা অবৈধভাবে বালু উওোলনের নৌকা ও ড্রেজার বন্ধে দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
অভিযোগ উঠেছে,গোয়াইনঘাট থানার স্থানীয় ইউনিয়নে দায়িত্বরত নবনিযুক্ত বিট পুলিশ অফিসার মহরম কে ম্যানেজ করেই নতুন করে চলছে চোরাচালান অস্ত্র বালু লুট। চোরাচালানের পয়েন্ট গুলো হচ্ছে প্রতাপপুর, হাজিপুর, পান্তূমাই, বাবুর কোনা, পান্তূমাই সোনার হাট,সহ বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে দেদারসে আসছে ভারতীয় পন্য। ভারতীয় পন্য হচ্ছে চিনি, চা পাতা, কিট, মাদক, অস্ত্র, ইয়াবা, ফেন্সিডিল, শাড়ি, থ্রি পিস, লেহেঙ্গা, জিরা গুড়া মসলা, কসমেটিক, নাসিরউদ্দিন বিড়ি,
এসব পণ্য সামগ্রী থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দেখেও না দেখার ভান করে থাকেন এসআই মহরম
সাদাপাথর ও জাফলং জিরো পয়েন্টের সৌন্দর্য ফেরাতে প্রশাসনের তৎপরতার মাঝেই গোয়াইনঘাটে ইজারা বহির্ভূত স্থান থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। দিন-রাত নৌকা দিয়ে ড্রেজার, লিস্টার ও বোমা মেশিনে চলছে এ বালু লুট।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে সবচেয়ে বেশি বালু উত্তোলন হচ্ছে পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের হাজিপুর, উত্তর প্রতাপপুর হাজিপুর পিয়াইন ও মনরতল নদী থেকে। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্র প্রতিদিন লাখ লাখ ঘনফুট বালু তুলছে, যার বাজারমূল্য প্রায় কোটি টাকার উপরে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, একটি প্রভাবশালী চক্রই রাতের আঁধারে যন্ত্র ব্যবহার করে এবং স্থানীয় প্রশাসনের বিট অফিসার এস আই মহরমের যোগসাজশে এই বালু উত্তোলন করছে। তাছাড়া বিট অফিসার মহরম নিজে দাড়িয়ে থেকে এ বালু উত্তোলন উপভোগ করেন। বিশেষ সূত্রে জানা যায়
স্থানীয় ও জেলার সাংবাদিকদের সঙ্গে এসআই মহরম এর মিটহয় সাপ্তাহিক বখরা দেওয়ার চোরাচালান ও বালু উত্তোলনের কোনভাবেই সংবাদ যেন প্রকাশ করা না হয় এবিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
এদিকে উপজেলার ১২নং সদর ইউনিয়নের এলাকায় ইজারা বহির্ভূত বালুমহাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ১৪ জন শ্রমিককে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক।
জানা যায়, আটককৃত শ্রমিকদের মধ্যে ১২ জনকে ৩ মাস ও ২ জনকে ১ মাস করে মাটি ও বালুমহাল আইনে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এরপর দুই চার দিন বন্ধ থাকলেও এখন আর থেমে নেই চোরাচালান অস্ত্র ও অবৈধ বালু উত্তোলন।
এবিষয়ে জানতে এসআই মহরম এর মুঠুফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নতুন আসছি এখন ও কোনো কিছু বোঝাতে পারছি না,
কিছুদিন যাক আপনাদের সাথে যোগাযোগ থাকবে ইনশাআল্লাহ এই বলে ফোন কেটে দেন।
এসআই মহরম কি বোঝাতে চাচ্ছেন তা তিনি ভার জানান।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ নিজাম উদ্দিন, নির্বাহী সম্পাদক : আইয়ুব আলী অফিস ; খান কমপ্লেক্স, সোনারপাড়া, শিবগঞ্জ, সিলেট। যোগাযোগ : প্রকাশক ও সম্পাদক : ০১৭৩৭-৩০৪৭৫১। ই-মেইল : sylhetbuletin@gmail.com
All rights reserved © 2025 sylhet buletin