বিশেষ প্রতিবেদক:
গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের হাজিপুর উওর প্রতাপপুর ও মনরতল পিয়াইন নদী সংগ্লগন এলাকা থেকে অবাধে এখনো লুট হচ্ছে বালু। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র অবৈধভাবে প্রতিদিন লাখ লাখ ফুট বালু উত্তোলন করে প্রতিফুটে শতকরা ১০ টাকা হারে টাকা উত্তলন করে আসছে। দিনে রাতে দেদারসে ইজারা বহির্ভূত জায়গা থেকে অবৈধভাবে নৌকা যোগে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উওোলন করায় নদী পাড়ের শত শত বিঘা ফসলী জমি বাড়িঘর হুমকিতে পড়েছে। উপজেলার হাজিপুর এলাকার উওর প্রতাপপুর এবং মনরতল এলাকায় পিয়াইন নদীতে চলছে অবৈধ এ কর্মযজ্ঞ।
অবৈধভাবে বালু লুটের ফলে নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলোতে ভাঙ্গন ঝুঁকিতে রয়েছে। তেমনি ইজারা বহির্ভূত জায়গা থেকে দেদারসে বালু উওোলনের ফলে বিপুল অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।স্থানীয়রা অবৈধভাবে বালু উওোলনের নৌকা ও ড্রেজার বন্ধে দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
অভিযোগ উঠেছে,গোয়াইনঘাট থানার স্থানীয় ইউনিয়নে দায়িত্বরত নবনিযুক্ত বিট পুলিশ অফিসার মহরম ও সহকারী বিট অফিসার এ এস আই মোবারককে ম্যানেজ করেই নতুন করে চলছে এ বালু লুট।
সাদাপাথর ও জাফলং জিরো পয়েন্টের সৌন্দর্য ফেরাতে প্রশাসনের তৎপরতার মাঝেই গোয়াইনঘাটে ইজারা বহির্ভূত স্থান থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। দিন-রাত নৌকা দিয়ে ড্রেজার, লিস্টার ও বোমা মেশিনে চলছে এ বালু লুট।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে সবচেয়ে বেশি বালু উত্তোলন হচ্ছে পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের হাজিপুর, উত্তর প্রতাপপুর এলাকার মনরতল ও হাজিপুর পিয়াইন নদী থেকে। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্র প্রতিদিন লাখ লাখ ঘনফুট বালু তুলছে, যার বাজারমূল্য প্রায় কোটি টাকা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, একটি প্রভাবশালী চক্রই রাতের আঁধারে যন্ত্র ব্যবহার করে এবং স্থানীয় প্রশাসনের বিট অফিসার এস আই মহরম ও সহকারী বিট অফিসার তোবারকের যোগসাজশে এই বালু উত্তোলন করছে। তাছাড়া সহকারী বিট অফিসার নিজে দাড়িয়ে থেকে এ বালু উত্তোলন উপভোগ করেন।
এদিকে উপজেলার ১২নং সদর ইউনিয়নের হাজীপুর এলাকায় ইজারা বহির্ভূত বালুমহাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ১৪ জন শ্রমিককে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক।
জানা যায়, আটককৃত শ্রমিকদের মধ্যে ১২ জনকে ৩ মাস ও ২ জনকে ১ মাস করে মাটি ও বালুমহাল আইনে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।