রুহুল ইসলাম মিঠু, সিলেট জেলা প্রতিনিধি:
সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার উজান মেহেরপুর গ্রামে একটি নীরিহ গরীব পরিবারকে জিম্মি করে বার বার নির্যাতন চালাচ্ছে একই গ্রামের কয়েকজন সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্র।
গত ১লা সেপ্টেম্বর সোমবার সন্ত্রাসীরা উজান মেহেরপুর গ্রামের তাজ উদ্দিনের গৃহের বেড়া, ফসলের বেড়া জোরপূর্বক ভেঙ্গে দিয়ে উল্লাস প্রকাশ করেছে।
গ্রামের মতুরাই এর ছেলে জাকারিয়া (৩০), কিবরিয়া (২৫), মতিন মিয়ার ছেলে আবু সাঈদ (৩০), এছাড়াও শাহীন (২৮) ও রামিম (২০) সংঘটিত হয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে বার বার আইন-শৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটিয়ে জনজীবনে ভয়ংকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
বছরখানেক আগে উক্ত সন্ত্রাসীরা এলাকার তাজ উদ্দিনের এস.এস.সি পাস করা মেয়েকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন চালায়। সন্ত্রাসীদের ভয়ে মেয়েটির পড়ালেখা বন্ধ রয়েছে। মেয়েকে নির্যাতনের প্রতিবাদ করায় সন্ত্রাসীরা পিতা ও মেয়েকে একসাথে বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। গ্রামে সন্ত্রাসীদের মূল নেতৃত্ব দেয় জাকারিয়া ও কিবরিয়া।
নির্যাতিত পিতা ও মেয়ে সুষ্ঠু বিচার পেতে গ্রামের বিভিন্ন মুরব্বীদের কাছে বিচার প্রার্থী হলে সন্ত্রাসীরা উভয় পক্ষকে খুন করার হুমকী দেয়। ফলে গ্রামের বিশিষ্ট মুরব্বীরা ঐ সন্ত্রাসীদের কাছে নির্যাতিতদের পক্ষে কোন প্রকার সালিশ করতে পারেননি।
সন্ত্রাসী জাকারিয়া ও কিবরিয়ার নেতৃত্বে প্রতি রাতে নীরিহ তাজ উদ্দিনের বসত ঘরের চালের উপর ইট-পাথর দিয়ে ঢিল মারতে থাকায় নীরিহ পরিবার রাতে ঘুমাতে পারে না। বিষয়টি নিয়ে তাজ উদ্দিনের পরিবার প্রশাসনের কাছে বিচার প্রার্থী হলে সন্ত্রাসী জাকারিয়া ও কিবরিয়া তাদের ঘরের টয়লেটের লাইনটি নির্যাতিত তাজ উদ্দিনের বসত ঘরের মুখামুখী করে দেয়ার ফলে নিরীহ পরিবারের ঘরে ভেতর পচা দুর্গন্ধে পরিবেশ খারাপের দিকে চলে গেছে। এখন নীরিহরা সুষ্ঠু বিচার পাচ্ছেন না। সন্ত্রাসীরা এলাকায় চিহ্নিত অস্ত্রবাজ, দাঙ্গাবাজ হিসেবে পরিচিত।
চলতি বছরের ৬ মার্চ দুপুর বেলা সন্ত্রাসী জাকারিয়া ও কিবরিয়া গং সংঘটিত হয়ে নীরিহ তাজ উদ্দিন ও তার মেয়েকে নির্যাতনের পর গত ৮ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টায় ঐ সন্ত্রাসীরা তাজ উদ্দিনের বসত ঘরে হামলা চালিয়ে বসত ঘরের দরজা, জানালা, আসবাবপত্র ভাংচুর করে এক লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে।
এ ব্যাপারে গত ১৩ এপ্রিল নির্যাতিতদের পক্ষে রসনা বেগম বাদী হয়ে সিলেট রেঞ্জের ডি.আই.জি বরাবর লিখিত একটি অভিযোগ দেন। যার স্মারক নং- ৩৯২৭।
সম্প্রতি গোলাপগঞ্জ-ফেঞ্চুগঞ্জ এসপি সার্কেল অফিস সেই সব ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। নির্যাতিত পরিবার এ পর্যন্ত সুষ্ঠু বিচার না পেয়ে বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।