সেলিম মাহবুব:
সিলেট জেলা প্রশাসক আন্তঃউপজেলা ফুটবল টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে বিশ্বনাথ ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা দলের খেলায় সৃষ্ট বিশৃঙ্খলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে বিশ্বনাথ স্পোর্টস অর্গানাইজেশন ইউকে। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সংগঠনটির সভাপতি জামিল খান ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম রাহেল স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ফুটবল ফুটবলারদের জন্য এবং রেফারি ফুটবলের জন্য—রেফারির জন্য ফুটবল বা ফুটবলার নয়। এর সূত্রপাত ঘটে ৩১ আগস্ট (রবিবার) বিকাল সাড়ে ৩টায় সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত আন্তঃউপজেলা ফুটবল টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলায়। এদিন বিশ্বনাথ উপজেলা বনাম দক্ষিণ সুরমা উপজেলা দলের মধ্যকার খেলায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় এবং খেলোয়াড় কর্তৃক রেফারির সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের ঘটনা ঘটে।
বিশ্বনাথ স্পোর্টস অর্গানাইজেশন ইউকে ঘটনাটির তীব্র নিন্দা জানায়। একই সঙ্গে প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও ধৈর্য ও সংযমের সঙ্গে পুরো সময় সুন্দর খেলা উপহার দেওয়ার জন্য বিশ্বনাথ উপজেলা ফুটবল দলের তরুণ ফুটবলার, কোচ, কর্মকর্তা ও দর্শকদের ধন্যবাদ জানায় সংগঠনটি।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বিশ্বনাথ উপজেলার ক্রীড়াঙ্গনের ইতিহাস অতীত থেকে সমৃদ্ধ। তাই ৩১ আগস্টের ঘটনাটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; এটি পরিকল্পিত ও সাজানো। সংগঠনটির মতে, এসব ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি জরুরি। রেফারির পক্ষপাতিত্বসহ বিতর্কিত ঘটনাগুলো দেশ-বিদেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যা বৃহত্তর সিলেটের ফুটবল ইতিহাসের জন্য লজ্জাজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সংগঠনটি মনে করে, জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ডিএফএ) একটি বোর্ড গঠন করে ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত ও বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমে খেলোয়াড় কর্তৃক রেফারির সঙ্গে অসদাচরণ, রেফারির পক্ষপাতমূলক আচরণ এবং প্রতিপক্ষ দক্ষিণ সুরমা উপজেলা দলের খেলোয়াড় ও দর্শকদের অন্যায় আচরণের সঠিক বিচার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ও ফিফার আইন অনুযায়ী কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন, যাতে ভবিষ্যতে কেউ ফুটবলের স্বার্থবিরোধী আচরণের সাহস না করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন টুর্নামেন্টের খেলা স্থগিত রেখে দ্রুত আইনগতভাবে বিষয়টির নিষ্পত্তি করবে—এমন প্রত্যাশা করা হয়। একই সঙ্গে সতর্ক করে জানানো হয়, বিচার পাওয়ার অধিকার সবারই রয়েছে। তাই কোনো প্রকার ছলচাতুরীর আশ্রয়ে অভিযোগকারীদের প্রচলিত আইনের দ্বারস্থ হতে বাধা দেওয়া উচিত নয়।