স্টাফ রিপোর্টার:
মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছেন সরকারি প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা। দীর্ঘদিন আন্দোলনের পরও বেতন বৈষম্য, উচ্চতরগ্রেডসহ সমাবেশে তিন দফা দাবি জানাবেন শিক্ষকরা। শনিবার সকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিক্ষকদের এই কর্মসূচিতে লাখো শিক্ষকের আগমন ঘটতে পারে। শুধু তাই নয় সমাবেশকে সফল করতে যোগ দেবেন বিএনপি, জামাত, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদের নেতারা।
প্রাথমিক শিক্ষকদের ছয়টি পৃথক সংগঠনের মোর্চা ‘সহকরী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’ অন্যতম নেতা ও বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন জনকণ্ঠকে জানান, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, জামাতের শিক্ষক ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল এবি এম ফজলুল করিম, এনসিপির হান্নান মাসুদ, গণঅধিকার পরিষদের নেতা ভিপি নূরুল হক নূর, গণ সংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী ও নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না উপস্থিত থাকবেন।
জানা যায়, সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে অতিথি হিসেবে থাকার জন্য শিক্ষকদের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছিল। তার অন্য একটি প্রোগ্রাম থাকায় বিএনপির পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধি সমাবেশে অংশ নেবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
প্রাথমিক শিক্ষকরা জানান, দীর্ঘ আন্দোলনের পরও আমাদের দাবি বাস্তবায়নে কারও কোন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। সরকারকে আমরা একটি সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলাম। কিন্তু কাজ হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। এ সমাবেশে সারাদেশের প্রাথমিকের লক্ষাধিক শিক্ষক অংশ নেবেন।
শিক্ষকদের দাবিগুলো হলো- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে এন্ট্রি পদ সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন-ভাতা দেওয়া, শতভাগ শিক্ষককে পদোন্নতি এবং ১০ ও ১৬ বছরপূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা নিরসন।
এর আগে থেকেই তিন দফা দাবি আদায়ে দীর্ঘদিন ধরেই প্রাথমিকের শিক্ষকরা আন্দোলন করে আসছেন। চলতি বছরের ৫ মে থেকে ১৫ মে পর্যন্ত সারা দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রত্যেক কর্মদিবসে এক ঘণ্টা কর্মবিরতি শুরু করেন তারা। এরপর ১৭ মে থেকে দুই ঘণ্টা এবং ২১ মে থেকে ২৫ মে পর্যন্ত আধাবেলা কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকরা। ২৬ মে থেকে অনির্দিষ্টকালেরর কর্মবিরতি শুরু করেন তারা। টানা চারদিন কর্মবিরতির পর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টার আশ্বাসে ১ জুন থেকে ক্লাসে ফিরে যান। আশ্বাসের তিনমাস পেরিয়ে গেলেও দাবি পূরণ না হওয়ায় আবারও রাজপথে নামছেন প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে ৬৫ হাজারের বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পৌনে ৪ লাখেরও বেশি শিক্ষক কর্মরত। তাদের মধ্যে প্রধান শিক্ষকদের বর্তমান বেতন গ্রেড দশম। আর সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১৩তম।