ছবি সংগৃহীত
জৈন্তাপুর প্রতিনিধি:
সিলেটের তামাবিল মহাসড়কের জৈন্তাপুর উপজেলার সরুফৌদ নামক স্হানে বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় দুইটি বাইক দূর্ঘটনার স্বীকার হয়। এতে ঘটনাস্থলে মোহাম্মদ তালহা (১৭) নামে এক তরুণ মৃত্যুবরণ করে। সে উপজেলার দরবস্ত কান্জর গ্রামের তাজউদ্দীন মিয়ার পুত্র।
দূর্ঘটনায় দুইটি বাইকে থাকা আরো চারজন আহত হয়েছে। এর আগে জাফলং থেকে ছেড়ে আসা পর্যটকবাহী তিশা কোচ ( ঢাকা মেট্রো -ব-১৫-৩৩৫৮) ঘাতক বাসটি সিলেট যাওয়ার পথে আসামপাড়া গুচ্ছগ্রাম এলাকায় আরো একটি বাইককে ধাক্কা মেরে ফেলে পালিয়ে আসে। এ ঘটনায় আরো দুইজন আহত হয়। এ নিয়ে মোট আহতের সংখ্যা ছয়জন।
স্হানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (২৯শে আগষ্ট) সন্ধ্যা ৬:০০ ঘটিকায় বাসটি আসামপাড়া গুচ্ছগ্রাম এলাকায় এসে পৌছালে রাস্তার পাশে থেমে থাকা এক মোটরসাইকেলকে ধাক্কা মেরে ফেলে পালিয়ে যায়। এতে বাইকে থাকা দুইজন আহত হয়।আহতরা হলেন জাফলং ছৈলাখেল গ্রামের আবুল হাসেম মিয়ার পুত্র আবদুল জলিল (৩৭) ও আসামপাড়া গুচ্ছগ্রাম এলাকার জিয়া উদ্দিন মিয়ার পুত্র ফরহাদ (১৭)।
পরে পালিয়ে যাওয়া বাসটি জৈন্তাপুর সদর অতিক্রম করে সন্ধ্যা আনুমানিক ৬:২০ মিনিটে সারিঘাট দক্ষিণ সরুফৌদ নামক এলাকায় এসে পৌছালে বিপরীত দিক হতে আসা দুইটি মোটরসাইকেলকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে তালহার মৃত্যু হয়।
পরে স্হানীয়রা গুরুতর আহত চারজনকে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে দুইজনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তারা হলেন সারিঘাট ডৌডিক এলাকার শুক্কুর মিয়ার পুত্র শাকিল (২০) ও একই গ্রামের মাওলানা আব্দুল ওয়াহিদের পুত্র জুনেদ আহমেদ (১৮)। আহত অপর দুইজন হলেন একই গ্রামের মফিজ আলির পুত্র শাহিন আহমদ (২০) ও আরফান আলীর পুত্র ইব্রাহিম আহমেদ (২২)। তাদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়।
এ বিষয়ে তামাবিল হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, পালিয়ে যাওয়া ঘাতক বাসটি হরিপুর এলাকায় স্হানীয়দের সহযোগিতায় আটক করা হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করছে। দুর্ঘটনার পর ঘন্টাখানেক যান চলাচল বন্ধ থাকার পর বর্তমানে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে তিনি জানান।