বিশেষ প্রতিবেদক:
গোয়াইনঘাট উপজেলার তোয়াকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিব না থাকায় ইমনেই চলছে ইউপি অফিস,ফলে সেবা কার্যক্রম চরম ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে তোয়াকুল ইউনিয়নবাসী। প্রতিদিন অফিস টাইমে দূর-দূরান্ত থেকে এসে নির্ধারিত স্থানে চেয়ারম্যান ও সচিব না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে সেবা গ্রহীতাদের। ঘোড়ামার গ্রামের আব্দুর রহিম জানান,তিন দিন এসেও ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ও সচিব না থাকায় কাজ করাতে পারি নি। এটাই তোয়াকুল ইউনিয়নের বর্তমান চিত্র।
দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থা চলতে থাকায় ইউনিয়নবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছে, এসব যেন দেখার কেউ নেই। সুত্র জানায়, ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর দূর্নীতিবাজ সচিব আব্দুর রব বদলী হওয়ায় কিছুটা আশার আলো সঞ্চার হলেও পরবর্তীতে অজানা কারণে কৃত্রিম ভাবে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে ইউনিয়নের সেবা গ্রহীতারা। শুধু তাই নয়, তোয়াকুল ইউনিয়ন অফিস এর উদ্যোক্তা ইমনের হয়রানির শিকার হয়ে নাজেহাল সেবা গ্রহীতারা। উদ্যোক্তা শাহরিয়া আহমদ ইমন কে এই অফিসে চাকরি দিয়েছিলো দূর্নীতিবাজ ইউপি সচিব আব্দুর রব। অবৈধ টাকার নিরাপদ মানিব্যাগ হিসেবে ইমনকে ব্যবহার করতো গুনধর এ সচিব। বিভিন্নধরনের সনদ বিক্রি ও ভিজিডিকার্ড,সহ সকল অবৈধ আয়ের নিরাপদ হেডমাস্টারের দায়িত্ব পান ইমন।
যে ভাবে এমপি মন্ত্রীরা টাকা ইনকাম করেছেন এর থেকোও কম নয় এই ছোট্র ইমন। ইমন মাত্র কয়েক দিনে কোটি টাকার মালিক হয়েছে। জানাযায়, ইমন তোয়াকুল ইউনিয়নের ইশবপুর গ্রামের হাসিম আলীর পুত্র, সে অবৈধ ভাবে ইউনিয়ন এর বিভিন্ন কার্ড থেকে অনেক ভাবে টাকা ইনকাম করেছে। অবৈধ ভাবে আইডি কার্ডের বয়স বাড়ায় প্রতিটা আইডি কার্ড থেকে নিম্নে ১৫/১৬ হাজার টাকা নেয়, তার মাসিক ইনকাম নিম্নে লাখ টাকার ও বেশি। যেখানে নুন আনতে পান্তা ফুরাতো সেখানে ইমনের হাতে বর্তমানে লাখ টাকার আইফোন রয়েছে। সে এখন লক্ষ লক্ষ টাকার গাড়িয়ে চলা ফেরা করে। তার নামে এমন ও অভিযোগ রয়েছে মহিলারা তার অফিসে গেলে মহিলাদের ফোন হাতে নিয়ে মহিলাদের নাম্বার রাখে পরে কল দিয়া ডিস্টার্ব করে এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। বিভিন্ন সময় দেখা যায় সিলেটে মহিলাদের কে নিয়া ঘুরাঘুরি করে। দ্রুত যেন তাকে এ অফিস থেকে সারানো হয় এমনটাই প্রত্যাশা তোয়াকুল ইউনিয়নবাসীর।