স্টাফ রিপোর্টার:
উড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিং প্রতিষ্ঠান ‘ফ্লাইট এক্সপার্ট’ বন্ধের ঘটনায় বিপাকে পড়েছে দেশের বেশ কিছু ছোট ও মাঝারি টিকিট বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ও গ্রাহকরা। আগাম টিকেট কেটে রাখার পরিবর্তে জমা দেওয়া টাকা ফেরত নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন গনমাধ্যমে এমন সংবাদ প্রচারিত হয় যে, ফ্লাইট এক্সপার্টের মাধ্যমে আগাম কেটে রাখা উড়োজাহাজের টিকিট রিফান্ড করা শুরু করেছে সোমা ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিসেস। এমনকি অফিস বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে ভিতরে বসে সব পিএনআর (যাত্রীদের নামের রেকর্ড) রিফান্ড করারও অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়া ‘ফ্লাইট এক্সপার্ট’ বন্ধ হওয়ার ব্যাপারে সোমা ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিসেস আগে থেকেই জানতো, এমন ভিত্তিহীন তথ্যও সংবাদে উল্লেখ করা হয়। এমন প্রচারিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সোমা ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিসেসের স্বত্বাধিকারী মোতাহার হোসেন বাবুল।
গণমাধ্যমে প্রেরিত এক সংবাদ বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, ব্যাবসা জনিত কারণে ‘ফ্লাইট এক্সপার্ট’ এর সাথে অন্যান্য সব প্রতিষ্ঠানের মতো ব্যবসা পরিচালনা করেছে সোমা ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিসেস। কিন্তু ‘ফ্লাইট এক্সপার্ট’ বন্ধ হওয়ার পর অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতোই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সোমা ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিসেস।
এমনকি ‘ফ্লাইট এক্সপার্ট’ এর কাছে সোমা ইন্টারন্যাশনালের বড় অংকের টাকা পাওনা রয়েছে। এ ব্যাপারে গত ২রা আগষ্ট সোমা ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিসেস কর্তৃপক্ষ সিলেট কতোয়ালী মডেল থানা ও ঢাকার পল্টন থানায় পৃথক দুটি সাধারণ ডায়রী (জিডি) করেছে।
(পল্টন থানা জিডি নং- ৯৪, সিলেট কোতোয়ালী থানা জিডি নং- ১২২)। যাত্রীদের টিকিটের টাকা নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রতিষ্ঠানটি। এমন পরিস্থিতিতে সোমা ইন্টারন্যাশনালের নাম জড়িয়ে অপ-প্রচারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী মোতাহার হোসেন বাবুল।
বাবুল বলেন, দীর্ঘদিন যাবত সুনামের সাথে ব্যাবসা পরিচালনা করে আসছে সোমা ইন্টারন্যাশনাল। তবে সম্প্রতি প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এমতাবস্থায়, প্রকৃত ঘটনা অনুসন্ধানপূর্বক যথাযথ সংবাদ প্রকাশ এবং এর ফলশ্রুতিতে যেনো নিরপরাধ ব্যাক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান যেনো ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টিরাখার আহবান জানিয়েছেন তিনি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।