শিরোনাম
সিলেটের নতুন পুলিশ সুপার হিসেবে যোগ দিলেন কাজী আখতার উল আলম সোসাইটি অব জাতীয় গণমাধ্যম কমিশন মৌলভীবাজার জেলা শাখার অভিষেক ও আইডি কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠিত।  সুনামগঞ্জে নতুন পুলিশ সুপারের দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে” জেলার চোরাকারবারি, মাদকসহ সবধরনের অপরাধ দমন করার আশ্বাস প্রদান করেন—নবাগত পুলিশ সুপার   বিএনপির চেয়ারপার্সনের সুস্থতা কামনা করে দিরাই বিএনপির ও সহযোগি সংগঠনের উদ্যোগে জগন্নাথ মন্দিরে প্রার্থনা সভা সুনামগঞ্জে খুচরা সার বিক্রেতাদের লাইসেন্স বহাল ও নীতিমালা সংশোধনের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করেন সুনামগঞ্জে দোয়া মাহফিল ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন এড.নুরুল ইসলাম নুরুল দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনায় মানিকগঞ্জে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত। মল্লিকপুর বগি লাইনচ্যুত: তেলবাহী ওয়াগন ছিলো খালি তাই হয়নি ক্ষয়ক্ষতি  বিএনপির চেয়ারপার্সনের সুস্থতা কামনা করে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) বিভিন্ন মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত সিলেট নগরীর বন্দরবাজারে তালহা রেস্ট হাউজে ডিবির অ ভি যা ন ৫ জন গ্রে ফ তা র
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন

সিলেটের সড়কে “মা” টোকেন বাণিজ্য : চাঁদাবাজ চক্রের জিম্মায় সিএনজি শ্রমিকরা, প্রশাসনের নীরবতায় ক্ষুব্ধ জনতা

স্টাফ রিপোর্টার / ১২৯ Time View
Update : শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার:

সিলেটের সড়কপথে চাঁদাবাজি যেন নতুন রূপ ধারণ করেছে। পবিত্র “মা” শব্দকে ব্যবহার করে চলছে নতুন এক টোকেন বাণিজ্য। সিলেট-তামাবিল, কানাইঘাট-দরবস্ত, গোয়াইনঘাট-জৈন্তাপুর সড়কে ও বিয়ানীবাজার জকিগন্জ সড়কে প্রতিদিন শতশত সিএনজি অটোরিকশা চলছে এই টোকেনের ছত্রছায়ায়। কথিত এই টোকেন এখন অটোরিকশা চালক ও মালিকদের জন্য একপ্রকার বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিগত কয়েক দিন ধরে শামীম আহমদ ও আরিফ (জৈন্তাপুরের দরবস্ত) এবং হেলাল ও জালাল আহমদ বইয়া (চতুল, কানাইঘাট) নামের এক চক্র সড়কে চলাচলরত সিএনজি থেকে ৮০০ থেকে ১,০০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছে প্রতিটি টোকেন বাবদ। টোকেন ছাড়া গাড়ি চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়ছে, কারণ এই টোকেন থাকলেই নাকি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাগজপত্র তল্লাশির ঝামেলা ছাড়াই গাড়ি ছেড়ে দিচ্ছে।

সাধারণ সিএনজি শ্রমিকদের অভিযোগ, টোকেন না থাকলে নানা অজুহাতে হয়রানি, এমনকি গাড়ি আটকের হুমকিও আসে। আর এই সুযোগ নিয়েই চক্রটি পকেট ভারী করছে।

যেখানে একসময় দেশের প্রশাসনকে জনতার ভরসার প্রতীক হিসেবে দেখা হতো, সেখানে আজ প্রশাসনের নীরবতা জনমনে ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে দিচ্ছে। এক সময়ের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার দৃষ্টান্ত আজ শুধু ইতিহাসের পাতায়। বর্তমানে সংস্কার-পর্বে থাকা দেশে এই ধরনের পরিস্থিতিতে সাধারণ শ্রমিকরা কোথায় যাবে? কার কাছে চাইবে নিরাপত্তা?

অটোরিকশা শ্রমিকরা বলছেন,আমরা কষ্টের টাকা দিয়ে গাড়ি চালাই। এখন ‘মা’ নামে টোকেন কিনতে টাকা যোগাড় করতে হয়। পবিত্র নামকে যারা এইভাবে অপমান করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে কে?

এ বিষয়ে স্থানীয় মানুষের বক্তব্য পুলিশ-প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছে। চক্রটি প্রকাশ্যে সড়কে চাঁদাবাজি করছে। প্রশাসন যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে এই অন্যায় বাণিজ্য আরও ছড়িয়ে পড়বে।– পবিত্র “মা” নামটিও আজ চাঁদাবাজির হাতিয়ার!প্রশাসন কি আর কতদিন নীরব থাকবে?– সাধারণ শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও অধিকার ফিরিয়ে দিতে কি পদক্ষেপ নেওয়া হবে?

সাধারণ শ্রমিকের দাবি টোকেন বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত চক্রের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।– সড়কে অবৈধ টোকেন বাণিজ্য সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে। সিএনজি শ্রমিকদের হয়রানি বন্ধ করে ন্যায্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ