ছবি সংগৃহীত
জৈন্তাপুর থেকে ফিরে এসে এ প্রতিবেদন টি লেখা,স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় সীমান্তবর্তী শ্রীপুর পাতর কুয়ারীতে প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবির নাম ভাঙ্গিয়ে গাড়ী থেকে চাঁদা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। আর এই চাঁদা উত্তোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন শ্রীপুর পাথর কুয়ারী ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুল আহাদের নেতৃত্বে সমিতির সদস্য জসীমউদ্দিন ও মহর আলি গং। পাশাপাশি অভিযোগ রয়েছে বিজিবি ম্যনেজের নামে বড় অংকের টাকা প্রতিদিন সংগ্রহ করে সালেহ আহমদ নামে এক ব্যবসায়ী।
সরজমিনে পরিচয় গোপন করে শ্রীপুর কুয়ারী এলাকায় গিয়ে দেখা যায় চলতি জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ হতে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দিনে দুপুরে ২০০ ফুটি ট্রাক কুয়ারী এলাকায় নামিয়ে দেদারছে পাথর ও বালু উত্তোলন পরিবহন করে আসছে।
এই সমস্ত বালু ও পাথর বারকি নৌকা দিয়ে ভারতীয় সীমান্ত অতিক্রম করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবৈধভাবে বারকি নৌকা যোগে নিয়ে আসে। কথিত আছে স্হানীয় বিজিবির লাইন ম্যানেজ করে গত দেড় সপ্তাহ যাবৎ দিনেদুপুরে পাথর উত্তোলন করানো হচ্ছে।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যবসায়ী জানান, কুয়ারী উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় আট বছর ধরে বন্ধ। যার কারণে বিগত কয়েক বছরে উক্ত এলাকার সাধারণ শ্রমিক মানবেতর জীবন যাপন করে আসছে।
তিনি আরো বলেন পেটের দায়ে রাতের আধারে কিছু পাথর শ্রমিকরা নিয়ে আসলেও নতুন কমিটি গঠন হওয়ার পর সভাপতি আব্দুল আহাদের নেতৃত্বে দিনে দুপুরে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। কিন্তু হতাশার বিষয় হলো জোরপূর্বক শ্রমিকদের পাথর আনতে বলা হলেও প্রতিট্রাক হতে পাথর প্রতি ৩ হাজার টাকা ও বালু গাড়ী প্রতি ১ হাজার টাকা করে প্রশাসন, বিজিবি সহ নানান সেক্টরের কথা বলে সমিতির দুই সদস্য চাঁদা উত্তোলন করে আসছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ট্রাক চালক বলেন, তিনি গড়ে দৈনিক ৮/১০ ট্রিপ পাথর সে পরিবহন করে আসছিলো। এতে প্রতি ট্রিপে পাথরে ৩ হাজার টাকা ও বালুতে ১ হাজার করে টাকা জসীমউদ্দিন ও মহর আলিকে দিতে হয়। টাকা দিতে সময় চাইলে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও হুমকি প্রদান করা হয়।
এদিকে স্হানীয় শ্রীপুর এলাকার এক চা শ্রমিক বলেন গত ৮/১০ দিন ধরে গভীর রাত পর্যন্ত শুধু বালু ও পাথরের ট্রাকের আওয়াজ শুনা যায়। স্হানীয় ভাবে তথ্য সংগ্রহ করে জানা যায় প্রতিদিন গড়ে ৫০ ট্রাক পাথর ও ২০ ট্রাক বালু উত্তোলন করা হয়েছে। যার ফলে এই সমস্ত গাড়ী হতে প্রতিদিন দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চক্রটি। এ বিষয় শ্রীপুর পাথর কুয়ারী ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুল আহাদকে মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
এ বিষয়ে শ্রীপুর পাথর কুয়ারী ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক দিলদার হোসেন জানান, তিনি ব্যাক্তিগত কাজে মালয়েশিয়া ছিলেন। এক সপ্তাহ পূর্বে তিনি দেশে আসেন। তবে কুয়ারী এলাকায় গাড়ী থেকে চাঁদা উত্তোলনের বিষয়ে তিনি কোন কিছু অবগত নন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন দুই দিন পূর্বে জানতে পারেন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কুয়ারীতে একটি অভিযান চালানো হয়েছিলো। সেই অভিযান থেকে জরিমানা আদায় করা হয়।
এ বিষয় জৈন্তাপুরের সহকারী কমিশনার (ভুমি) ফারজানা আক্তার জানান, শ্রীপুর কুয়ারী এলাকায় পাথর ও বালি উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সম্প্রতি সময় প্রকাশ্যে বালু পাথর উত্তোলন ও পরিবহন বৃদ্ধি পাওয়ায় একাধিকবার টাস্কফোর্সের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করা হয়। সব শেষে দুইদিন আগে কুয়ারীতে ট্রাক নামার প্রবেশমুকে ড্রেজার দিয়ে কেটে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ নিজাম উদ্দিন, নির্বাহী সম্পাদক : আইয়ুব আলী অফিস ; খান কমপ্লেক্স, সোনারপাড়া, শিবগঞ্জ, সিলেট। যোগাযোগ : প্রকাশক ও সম্পাদক : ০১৭৩৭-৩০৪৭৫১। ই-মেইল : sylhetbuletin@gmail.com
All rights reserved © 2025 sylhet buletin