গোয়াইনঘাট (সিলেট) প্রতিনিধি:
সিলেটের গোয়াইনঘাটে নৌ-পথে চাঁদাবাজির অভিযোগে ৬ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। আটকৃতদের সাথে থাকা দেশিয় অস্ত্র ও নদীপথে বালু বুঝাই বাল্কহেড গতিরোধে ব্যবহৃত দুটি ইঞ্জিন নৌকা জব্দ করেছে যৌথ বাহিনী।
রোববার ৬ জুলাই গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসন, গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ ও নৌপুলিশ এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে উপজেলার ৪নং লেংগুড়া ইউনিয়নের লেংগুড়া গ্রামের গোয়াইনঘাটে নদী পথে চাঁদাবাজির সাথে জড়িত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন ইকবাল হোসেন ইমন (২১), কুদরত উল্ল্যা (৪৩), তোফায়েল আহমেদ (২৬), বদর উদ্দিন (৪৫), রহিম উদ্দিন (৪৫), সুলেমান (৩০)। জানা যায়, সরকারের ইজারাকৃত বালু মহাল থেকে বালুবাহী বাল্কহেড যাওয়ার পথে লেংগুড়া গ্রামের ফয়সল আহমদের ছেলে আজমল হোসেন ( ২৬)’র নেতৃত্বে সক্রিয় একটি চাঁদাবাজ চক্র অবৈধ ভাবে বাল্কহেড গুলো আটক করে রাখে। এ বিষয়ে ইজারাদারের সাথে দফায় দফায় সমন্বয়ক পরিচয়দানকারি আজমল গংদের সাথে একাধিক বার বিষয়টি নিরসনের জন্য বৈঠক হলেও কোন সুরাহা হয়নি।
এদিকে বালু বোঝাই প্রায় দুই শতাদিক বাল্কহেড দীর্ঘ ১৫ দিন থেকে লেংগুড়া গ্রামের আজমল বাহিনীর হাতে জিম্মি থাকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও প্রশাসনের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। আনুমানিক এক হাজার নৌকা শ্রমিককে জোরপূর্বক জিম্মি রাখায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গঠিত অভিযানে আজমল গংদের হাত থেকে তাদের উদ্ধার করে যৌথ বাহিনীর অভিযানিক দল। অভিযানকানে আজমল হোসেন পালিয়ে গেলেও তার কিছুসংখ্যক লোক সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক তাদের ৬ জনকে আটক করতে সক্ষম হয় অভিযানকারীদল। এ ঘটনায় আটককৃতদের বিরুদ্ধে গোয়াইনঘাট থানায় দেশীয় অস্ত্র এবং অবৈধভাবে চাঁদা আদায়ের দ্বায়ে মামলার প্রস্তুতি প্রক্রিয়াদিন রয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্বদানকারী গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার রতন কুমার অধিকারী বলেন, অবৈধভাবে নৌপথে চালিত বালুবাহী বাল্কহেড আটকের খবর পেয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করে বালু বোঝাই নৌকাগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ সরকার তোফায়েল আহমেদ জানান, নৌপথে বালু বোঝাই বাল্কহেড আটকে রাখার দায়ে এবং এঘটনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ৬জনকে আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি আটককৃতদের কাজে ব্যবহৃত ২টি কাঠের নৌকা ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। যৌথবাহিনীর অভিযান চলাকালে সরকারী কাজে বাধা ও ফেইস লাইভে গুজব সৃষ্টির কারণে সাংবাদিক নামধারী হুমায়ুন আহমদ জনতার হাতে গণধুলাইয়ের শিকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। স্থানীয়রা জানান,নিরক্ষর হুমায়ুন আহমদ সাবেক রাষ্ট্রপতির আব্দুল হামিদ’র ভাগিনা হওয়ার সুবাদে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় সকল অপরাধ-অপকর্ম তার নিয়ন্রণে চলে। নৌ-পথে চাঁদাবাজদের প্রধান এই হুমায়ুন আহমদ। চাদাবাজির সাথে জড়িত অন্যদের আটকের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।