স্টাফ রিপোর্টার:
মিজানুর রহমান, শেরপুর জেলা প্রতিনিধি:গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার খৈলকুড়া গ্রামের খামারি সার্জেন্ট জনাব মো: মনিরুজ্জামান মানিক অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য।খামারে সরেজমিন দেখা যায়, দুই শ্রমিককে নিয়ে গরুকে গোসল করানো, ঘাস কাটা, খাবার দেয়া, দুধ দহন কাজে ব্যস্ত মনিরুজ্জামান মানিক । খামার পরিচর্যায় তিনিও বেশ ব্যস্ত। তাদের গরুগুলোই যেন সবকিছু। শুধু তাই নয়,মনিরুজ্জামান মানিক খামারের পাশেই
তার নিজস্ব দোকান মনোরম পরিবেশে মেসার্স জারিফ এন্টারপ্রাইজে গবাদিপশুর খাদ্য সামগ্রী পাইকারি ও খুচরা সুলভ মূল্যে বিক্রিয় করে থাকেন।
রেখেছেন দুই জন শ্রমিক নাম আব্দুল আজিজ ও লিখন মিয়া তাদের প্রতিমাসে বেতন দিতে হয়। দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার প্রতিনিধি কে জানান, সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতিমাসে এখন গড় আয় হয় ৫০-৬০ হাজার টাকা। খামারটি এলাকার আদর্শ খামার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন বর্তমানে খামারে শাহীওয়াল, ফ্রিজিয়ান, ক্রস জাতের ১১ টি গরু আছে।সব মিলিয়ে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার গরু আছে খামারে এছাড়া গাভী থেকে প্রতিদিন ৬০-৭০ লিটার দুধ পাওয়া যায় যা দিয়ে পরিবার সহ স্থানীয় চাহিদা পুরন হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, সার্জেন্ট জনাব মো:মনিরুজ্জামান মানিক (অবসরপ্রাপ্ত) খামারে সেমিপাকা ঘর এবং ছাউনিতে ব্যবহার করা হয়েছে টিন। ঘাসের চাহিদা মেটাতে সামান্য জমিতে নেপিয়ার ঘাস চাষ করা হয়েছে। জমিতে উৎপাদিত ধানের খড় থেকে বছরে কয়েক মাস চাহিদা পূরণ করা হয়। তবে বাকী সময়ের জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে খড় কিনতে হয়। খামারের গরু নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসাও দেওয়া হয়ে থাকে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমি মনে করি কোন পরিবার যদি ঋণমুক্ত থাকে, তাহলে তাকে দারিদ্র বিমোচনের প্রথম ধাপ হিসেবে গণনা করা যায়। সেক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা হবে গবাদিপশু লালনপালন করা। এখন একটাই স্বপ্ন, নিজের পাশাপাশি গ্রামের মানুষের দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়তা করা এবং তাদের আত্মনির্ভরশীল করে তোলা।