নওগাঁ প্রতিনিধি:
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার ধর্মপুর গোয়ালভিটা হোসেনিয়া আলিম মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী মমতাজ আরার বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই বিএড প্রশিক্ষণ গ্রহণ এবং পরবর্তীতে সেই সনদের ভিত্তিতে বিএড স্কেল ভোগের অভিযোগ উঠেছে। নিয়ম লঙ্ঘনের এ ঘটনায় এলাকায় শিক্ষানুরাগীদের মধ্যে অসন্তোষ ও আলোচনার ঝড় উঠেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মমতাজ আরা ২০১৫ সালের ২৫ নভেম্বর মাদ্রাসাটিতে যোগদান করেন এবং ২০১৬ সালের ১ মে থেকে এমপিওভুক্ত হন। ২০২১ সালে জয়পুরহাট বিএড কলেজ থেকে কোর্স সম্পন্ন করলেও প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি নেননি। এরপর ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে তিনি বিএড স্কেলের জন্য আবেদন করেন।
মাদ্রাসার তৎকালীন অধ্যক্ষ মো. আনোয়ার হোসেন জানান, “স্কেল আবেদনকারী ছুটি বা অনুমতি নেননি। আমি শুরুতে অনুমোদনে অস্বীকৃতি জানাই। পরে তিনি ভুল স্বীকার করে একটি অঙ্গীকারনামা দেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, অনুমতি ছাড়াই কোর্স করাটা তার ভুল ছিল এবং স্কেল অবৈধ প্রমাণিত হলে তিনি সরকারি কোষাগারে অর্থ ফেরত দেবেন ও দায়ভার নিজেই নেবেন। এরপরই আমি তার স্কেল অনুমোদনের ব্যবস্থা করি।”
বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেওয়ান আমানুল্লাহ বলেন, “আমি দায়িত্ব নেবার পর রেজুলেশন খতিয়ে দেখি, সেখানে শুধুমাত্র বিএড কোর্সের একটি অনুমতি-সংক্রান্ত রেজুলেশন পাওয়া গেছে। অন্য প্রয়োজনীয় রেজুলেশন অনুপস্থিত।”
অভিযুক্ত শিক্ষক মমতাজ আরা স্বীকার করেছেন, “আমি সত্যিই অনুমতি না নিয়েই বিএড করেছি এবং স্কেল গ্রহণ করেছি। এটা সঠিক হয়েছে কিনা, নিশ্চিত নই।”
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, “প্রতিষ্ঠানের অনুমতি ছাড়া বিএড প্রশিক্ষণ নেওয়া ও স্কেল গ্রহণ বিধি বহির্ভূত। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এ ঘটনায় স্থানীয় শিক্ষানুরাগীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে মনে করছেন, এ ধরনের নজির ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলার জন্য হুমকি হতে পারে। তারা স্বচ্ছ তদন্ত ও যথাযথ সিদ্ধান্তের আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ নিজাম উদ্দিন, নির্বাহী সম্পাদক : আইয়ুব আলী অফিস ; খান কমপ্লেক্স, সোনারপাড়া, শিবগঞ্জ, সিলেট। যোগাযোগ : প্রকাশক ও সম্পাদক : ০১৭৩৭-৩০৪৭৫১। ই-মেইল : sylhetbuletin@gmail.com
All rights reserved © 2025 sylhet buletin