স্টাফ রিপোর্টার:
গোয়াইনঘাটের কুলুম ছড়ার পাড়ে চোরাকারবারি হোছন আহমদ ওরফে হোছন চোরা ও তার সহযোগীদের হামলার শিকার হন একই গ্রামের মৃত: আতাউর রহমানের ছেলে ছায়াদ রহমান
গত ১৩ জুন সোমবার দিবাগত রাত ১১ টা ৪৫ মিনিটে কুলুম ছড়ার পারের চিহ্নিত চোরাকারবারি হোছন আহমদ ওরফে হোছন চোরা (৩৮) তার স্ব সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নিয়ে ছায়াদ রহমানের বসত বাড়ীতে গিয়ে দেশীয় অস্ত্র সজ্জা সজ্জিত হয়ে দরজায় ডাকাডাকি করে। তখন তিনি দরজা খুললে কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই তাকে জোরপূর্বক তাদের বাড়ীতে নিয়ে আসে। এসময় হোসন ও জলিল তাকে জড়িয়ে ধরলে রাজন, করিম, নুর শুন্যর উপর তুলে হোসনের বাড়ীতে নিয়ে যায়।
সেখানে তাকে হাত-পা বেঁধে লোহার রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে জখম করে। পরে তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় করতে গেলে ছোয়াদ মাটিতে লুটিয়ে পড়লে কোন রকম বেঁচে যান। তখন জলিল তাহার বুকের উপর দাঁড়িয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করতে কাঠের রুল দ্বারা শরীরের বিভিন্ন অংশে ও পায়ে আঘাত করিয়া পা ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করে।
এদিকে এই খবর শুনে ছায়াদের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী উদ্ধার করতে আসলে করিম ও রাজন তাকে মারপিট করার এক পর্যায়ে তার শরীর থেকে কাপড়চোপড় টেনে খুলে শ্লীলতাহানি করে। পরবর্তীতে হোছন ঘরের ভিতর ডুকে আলমারি খুলে নগদ (৬০,০০০) হাজজার টাকা, ২ ভরি ওজনের স্বর্নালংকার যার বর্তমান মুল্য (১,৭৫,০০০ টাকা) নিয়ে যায়।
পরে আমার শোর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে চলে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় ১৪ জুন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে ১৫ জুন হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর চিকিৎসা শেষ করে ছায়াদ রহমান সুবিচারের জন্য গোয়াইনঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে থানায় মামলা নেওয়া হয়নি। থানায় মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ১৬ জুন ছায়াদ সিলেট জেলা জজ আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে অভিযোগ করলে আদালত তা আমলে নেয়। যার মামলা -গোয়াইনঘাট সি,আর, মোকাদ্দমা নং- ২১৫/২০২৫
মামলার আসামি যারাঃ৷ (১) হোছন চোরা (৩২), পিতা-মৃত রফিক উদ্দিন (২) জলিল (৩৮), পিতা-মৃত মফুর উদ্দিন (৩)রাজন (৪০), পিতা-মৃত রফিক উদ্দিন
(৪) করিম (৫০), পিতা-মৃত মফুর উদ্দিন (৫) নুর (৪৯), পিতা-মৃত রফিক উদ্দিন। সর্ব সাং- কুলুম ছড়ারপার, থানা-গোয়াইনঘাট, জেলা-সিলেট গং ২/৩ জন অজ্ঞাতনামা
পরবর্তীতে আদালত মামলার তদন্তভার ডিবিতে প্রেরন করে জুলাই মাসের ৭ তারিখের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করার আদেশ করেন।
মামলার তথ্য সুত্র ও এলাকাবাসীর মাধ্যমে জানা যায়, হোছন আহমদ ওরফে হোছন চোরা সহ আসামিগণ সীমান্ত এলাকায় গরু, চিনি, মাদক, চোরাচালান সহ নানান অপরাধ মুলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিল। ছায়াদ রহমান তাদের এসব অপরাধ মুলক কাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। যার প্রেক্ষিতে গত ১৩ জুন আসামিরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মধ্যরাতে ছায়াদ রহমানের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায় ও নগদ অর্থ, স্বর্নালংকার লুটপাট করে পালিয়ে যায়।
এব্যাপারে সাপ্তাহিক বাংলার মাটির প্রতিবেদক গোয়াইনঘাট থানার ওসি তোফায়েল সরকারের মুঠোফোনে কল করে মামলার অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি বলেন, আমি এখন একটু ব্যস্ত আছি। মামলার বিষয়টি আমার জানা নাই বিস্তারিত জেনে আপনাকে পরে জানানো হবে।