নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিলেটের জাফলংয়ে পরিদর্শনে এসে স্থানীয় শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও বাধার সম্মুখে পড়লেন বন ও জলবায়ু পরিবর্তন পরিবেশ,মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে জাফলং পিয়াইন নদী পরিদর্শন শেষে দুই উপদেষ্টার গাড়ি আটকে প্রায় ১৫-২০ মিনিট বিক্ষোভ করেন স্থানীয় বালু পাথর খেকোরা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, রাস্তায় তাদের গাড়ি আটকে বালু পাথর খেকোরা বিক্ষোভ করছেন। পরে পুলিশ বালু পাথর খেকোদের সরিয়ে দিলে তারা হরিপুর গেস্ট হাউসে যান।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, জাফলং (ইসিএ) ভুক্ত এলাকায় পরিবেশ ধ্বংস করে কোনোভাবেই বালু-পাথর উত্তোলন করতে দেওয়া যাবে না। পর্যটকবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে সিলেটের কোনো পাথর কোয়ারি লিজ দেওয়া হবে না। পর্যটনের মাধ্যমে শ্রমিকদের বিকল্প কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে।
মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলনের মাধ্যমে এলাকা ধ্বংস হয়ে গেছে। আপাতত ওই এলাকা থেকে পাথর উত্তোলন করতে দেওয়া হবে না।
সিলেটের কোনো পাথর কোয়ারি আর লিজ দেওয়া হবে না: রিজওয়ানা
তিনি বলেন, এখানে যে ক্রাশার মেশিন আছে সেগুলো সরাতে হবে। এজন্যে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হবে। এখানকার পর্যটনকেন্দ্রগুলোর উন্নয়ন করলে সিলেটে যে লন্ডন থেকে টাকা আসে তার থেকে বেশি টাকা আসবে। কিন্তু আমাদের বুঝতে হবে আমরা কোন দিকে যাব? পাথর উত্তোলন করে কি ধ্বংসের দিকে যাব নাকি এটা পরিবেশগত সৃষ্টি করে বিনোদনকেন্দ্র স্থাপন করে মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করব। সিলেটের সব পর্যটন নিয়ে সামগ্রিক উন্নয়ন নিয়ে একটি পরিকল্পনা করব।
গোয়াইনঘাট থানার ওসি সরকার মো. তোফায়েল আহমেদ, গণমাধ্যমকে জানান আকস্মিকভাবে স্থানীয়রা উপদেষ্টাদের গাড়ি আটকে দেয়। পরে পুলিশ দ্রুত তাদের সরিয়ে দিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করে। উপদেষ্টারা নিরাপদে হরিপুর গেস্ট হাউসে পৌঁছেছেন।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ নিজাম উদ্দিন, নির্বাহী সম্পাদক : আইয়ুব আলী অফিস ; খান কমপ্লেক্স, সোনারপাড়া, শিবগঞ্জ, সিলেট। যোগাযোগ : প্রকাশক ও সম্পাদক : ০১৭৩৭-৩০৪৭৫১। ই-মেইল : sylhetbuletin@gmail.com
All rights reserved © 2025 sylhet buletin