ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলায় সীমানা পিলার না থাকায় আতঙ্কে আছে কয়েকটি পরিবার | উপজেলার ৮ নং নন্দুয়ার ইউনিয়নের মীরডাঙ্গী নেকমরদ মহাসড়কের পাশেই ভোলাপাড়া (পাহানপাড়া) নামক স্থানেই নেই সীমানা পিলার, | স্বাধীনতার পূর্ব থেকে ক্ষুদ্র- নৃগোষ্ঠী (পাহান) সম্প্রদায়ের মানুষজন বসবাস করে আসছেন এই গ্রামে | মহাসড়কে পাশে তাদের ঘর বাড়ি থাকায় পাহান সম্প্রদায়ের মানুষজন সহ কোমলমতি শিশুরা রয়েছে চরম বিপদের মুখে। প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দ্রুতগামী কোচগুলা চলাচল করে। এই রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহনগুলো এলাকার মানুষের জন্য বিপদের ফাঁদ হয়ে দাড়িয়েছে সীমানা পিলার না থাকায় | উপজেলা চত্বর থেকে ভোলাপাড়া (পাহানপাড়া) এলাকার দূরত্ব ৬ কিলোমিটার। রাস্তার কিছু কিছু জায়গায় লাল রঙ্গের পিলার দেখা গেলেও এই গ্রামটির রাস্তার পাশে কোন লাল রঙ্গের পিলার নেই। রাস্তার পার্শ্বে দেখা যায় সরকারি কিছু আম আর জামের গাছ। এই বিষয়ে উপজেলা আদিবাসী সমাজ উন্নয়ন সমিতি সংগঠনের সহ সভাপতি এবং এলাকার আদিবাসী প্রতিনিধি শান্ত পাহানকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান--- আমাদের এই মহাসড়কে রাস্তার সাইডে কোন সুরক্ষা পিলার নেই। এইটা নিয়ে আমরা উপজেলার বেসরকারি সংস্থা ইকো সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) মাধ্যমে মিটিংয়ে আলোচনা এবং সমাধানের উপায়ে বিভিন্ন নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলেছিলাম। তারপরেও কোন ফলাফল দেখতে পাইনি। আমাদের রাস্তার সাইডে যদি দ্রুত সুরক্ষা পিলার না দেওয়া হয় তাহলে রাস্তার পার্শ্বে থাকা ঘর বাড়ি বড় ধরনের ক্ষতির আশংঙ্কা রয়েছে।ঢাকাগামী কোচগুলোর বেপরোয়া গতির কারণে বড় ধরনের বিপদ ঘটতে পারে। তাই আমি উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি বিষয়টি ডিসি স্যারকে সরেজমিনে সু- দৃষ্টি দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করতেছি। এই ভোলাপাড়া (পাহানপাড়া) গ্রামটিতে সারি সারি আদিবাসী মুন্ডা সম্প্রদায়ের লোকজন বসবাস করেন। এই পাহান সম্প্রদায়ের লোকজনের রাস্তার সাইডে বাড়ি ঘর থাকায় তারা প্রতিদিন সাবধানে চলাফেরা করেন। তাদের একটা ভয় কখন যে রাস্তার যানবাহনগুলো তাদের ফুট ফুটে সাজানো গোছানো ঘর বাড়ি এবং কোলমতির শিশুদের ক্ষতি করে ফেলে । আদিবাসী পাহানদের দাবি দ্রুত আমাদের রাস্তার পাশে সুরক্ষা পিলার স্থাপন করে হোক । এই এলাকায় যদি সুরক্ষা পিলার দেওয়া হয় তাহলে বড় ধরনের দূর্ঘটনার হাত থেকে এলাকার মানুষ রক্ষা পাবে। এবং খুব সহজেই এই এলাকার আদিবাসী কোলমতি শিশুরা খুব সহজে প্রতিদিন স্কুলে যেতে পারবে।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ নিজাম উদ্দিন, নির্বাহী সম্পাদক : আইয়ুব আলী অফিস ; খান কমপ্লেক্স, সোনারপাড়া, শিবগঞ্জ, সিলেট। যোগাযোগ : প্রকাশক ও সম্পাদক : ০১৭৩৭-৩০৪৭৫১। ই-মেইল : sylhetbuletin@gmail.com
All rights reserved © 2025 sylhet buletin