স্টাফ রিপোর্টার::
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ১ না রুস্তম পুর ও ১৩ নং বিছনাকান্দি ইউনিয়নের বিট অফিসার এস.আই রাকিব,ও সহকারী বিট অফিসার এ.এস. আই তানভীরের তত্বাবধানে চলছে বেপরোয়া চোরাচালান বানিজ্য।
অনুসন্ধানে জানাজায় বিছনাকান্দি সীমান্তে ভারতীয় অবৈধ গরু ও মহিষের লাইনের মূল হোতা, চাঁদাবাজ গোলাম হোসেন তিনি প্রতি গরু ও মহিষ থেকে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের নামে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করছেন, আর তার এই অনৈতিক কাজের শেল্টার দাতা হচ্ছেন গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের রুস্তমপুর বিছনাকান্দি বিটের বিট অফিসার এস.আই রাকিব ও এ.এস.আই তানভীর, শুধু গরু, মহিষ নয় অবৈধ ভারতীয় সবধরণের পণ্য থেকে নিয়মিত চাঁদাবাজি করছেন, এস.আই রাকিব ও গোলাম হোসেন সিন্ডিকেট।
অনুসন্ধানী টিম পরিচয় গোপন রেখে এলাকার সাধারণ জনতার সাথে মিশে চোরাচালান ব্যবসায়ীদের ব্যবসার রহস্য উন্মোচন কালে তাদের কাছে জানতে চাইলে এলাকার সচেতন মহলের লোকজন ও একাধিক চোরাকারবারী জানান গোলাম হোসেন ও তার বাহিনীর সদস্যরা হুমকির মধ্যে বুঙ্গার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে গরু প্রতি ২ হাজার ও মহিষ প্রতি ৩ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করে। তাছাড়া চিনি, কিট,পাথর, বালু সবকিছুতেই তাদের চাঁদা দিয়ে অবৈধ কে বৈধ করে নিতে হয়। কেউ চাঁদা না দিলে তাদের সিন্ডিকেট এস.আই রাকিব কে দিয়ে ভারতীয় অবৈধ পণ্য অনুপ্রবেশের দায়ে তা ধরিয়ে দেয়।
গোলাম হোসেন ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে চোরাচালানের গডফাদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এবং পতিত শেখ হাসিনা সরকারের বৈদেশিক ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী এমরান আহমেদের কাছের লোক বলে নিজের দাপট খাটিয়ে বিছনাকান্দি, রুস্তমপুর এলাকায় নিজের প্রভাব বিস্তার করে চলতেন। তার ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলতে নারাজ ছিল, স্বৈরাচারের পতন হলেও থেমে নেই গোলাম হোসেনের রাজত্ব। এখনও তাঁর ভয়ে কেউ মুখ খুলতে রাজি হন না। উল্লেখ্য এই গোলাম হোসেনের বাড়িতে একাধিক বার টাস্ক ফোর্সের অভিযান পরিচালিত হয়েছে, এবং সে সব অভিযানে অবৈধ ভারতীয় গরু, মহিষ ও জব্দ করা হয়েছে।
সে সময় গোলাম হোসেন পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয় নি। পরবর্তীতে গোলাম হোসেনের নামে টাস্কফোর্স মামলা ও করে। এতকিছুর পরও গোয়াইনঘাটে এখনও আওয়ামী সরকারের দোসররা দাপটের সঙ্গে চোরাচালান ব্যাবসা ও চাঁদাবাজির মহোৎসব চালিয়ে যাচ্ছে। আর ফ্যাসিবাদের দোসরদের রক্ষা কবচ হিসেবে কাজ করছেন এস.আই রাকিব ও এ.এস.আই তানভীর, তাদের অপ্রতিরোধ্য কার্যক্রমে গোয়াইনঘাটের বিছনাকান্দি সীমান্ত এখন চোরাচালানের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। চোরাচালান বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনের পদস্থকর্মকর্তারা দফায়-দফায় মিটিংয়ে বসছেন। তবুও চোরাকারবারিদের লাগাম টানা যাচ্ছেনা।
সীমান্ত এলাকার চোরাচারালান বন্ধ করতে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার, সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি, সিলেট এসএমপি কমিশনার, চোরাচালান বিরোধী ট্রাক্সফোর্স, চোরাচালান মনিটরিংসেল প্রতিমাসে করছেন একাধিক সভা তবে দিন শেষে ফলাফল সেই শূন্যই।
সূত্র বলছে পদস্থ কর্মকর্তা চোরাচালান বন্ধে তৎপর হলেও তাদের অধিনস্থ ওসি-এস.আই রা জড়িয়ে পড়ছেন চোরাকারবারীদের সাথে।
চোরাকারবারিদের সাথে রয়েছে তাদের গভীর সখ্যতা। কাঁচা টাকার লোভে তারা একেক এলাকায় নিয়োগ দিচ্ছেন একেক লাইনম্যান, দরকষাকষির মাধ্যমে সর্বোচ্চ দরদাতা পাচ্ছেন লাইনম্যানের দায়িত্ব।
সীমান্ত এলাকার থানার ওসিরা দিনে ডিআইজি, কমিশনার, এসপির মিটিংয়ে অংশ নিলেও রাতে থানায় ঠিকই বসেন চোরাচালানের লাইনম্যানদের নিয়ে। এসব মিটিং হলে থানার ওসিরা ঘুষের মূল্য বৃদ্ধির সুযোগ পান।
দীর্ঘ অনুসন্ধানে জানা যায়, এস.আই রাকিব ও এ. এস.আই তানভীর এতোটা বেপরোয়া যে তারা অনেক সময় গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি’র ) নির্দেশ ও অমান্য করে চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের চাঁদাবাজি। স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্যমতে তারা ওসির নির্দেশের ও তোয়াক্কা না করার কারণ হলো তাদের নাকি গোয়াইনঘাট কোম্পানিগঞ্জের সার্কেল এ এস পি সাইদুর রহমানের সাথে সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ নিজাম উদ্দিন, নির্বাহী সম্পাদক : আইয়ুব আলী অফিস ; খান কমপ্লেক্স, সোনারপাড়া, শিবগঞ্জ, সিলেট। যোগাযোগ : প্রকাশক ও সম্পাদক : ০১৭৩৭-৩০৪৭৫১। ই-মেইল : sylhetbuletin@gmail.com
All rights reserved © 2025 sylhet buletin