শিরোনাম
জামালগঞ্জের পাকনার হাওরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু ১২ কোটি টাকার প্রকল্প নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন সঠিক নয়: সিসিক সিলেট, ৩ মে ২০২৫: ৬ থানার ওসিকে একযোগে বদলি ওসমানীনগরে ৬২ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্যসহ আটক- ২  থানায় মামলা দায়ের  ছাতকে সেনাবাহিনীর হাতে নৌ-পথের দুই চাঁদাবাজ আটক শান্তিগঞ্জে আগুনে পুড়ে ৫টি পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছেন সিলেটে পিতার বিরুদ্ধে নিজ মেয়েকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে মানববন্ধন  বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন এর উদ্দ্যোগে গাজীপুর আদালতে কর্মবিরতি  লালমনিরহাটে রাস্তা পাকাকরনের দাবীতে মানববন্ধন  ওসি তদন্তের অদ্ভুত তদন্ত থানায় ধরে নিয়ে এসে মেরে ফেলবো
মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ০৯:২৯ অপরাহ্ন

১২ কোটি টাকার প্রকল্প নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন সঠিক নয়: সিসিক সিলেট, ৩ মে ২০২৫:

স্টাফ রিপোর্টার / ১২ Time View
Update : মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০২৫

প্রতিবাদ

কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে “১২ কোটি টাকার কাজ দেখিয়ে ভুয়া অভিজ্ঞতা সনদ” শিরোনামে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তা সিলেট সিটি কর্পোরেশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ব্যাখ্যা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

সিটি কর্পোরেশনের বক্তব্য অনুযায়ী, মেসার্স মোঃ জামিল ইকবাল ৪ এপ্রিল ২০২০ ইং তারিখে তাঁদের কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (CSR) কর্মসূচির আওতায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২টি বাস টার্মিনাল ও ১টি ট্রাক টার্মিনালে Automated Web-based Toll Collection চালুর প্রস্তাব দেন। প্রকল্পটির উদ্দেশ্য ছিল—রাজস্ব ফাঁকি রোধ, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনা, এবং আধুনিক নজরদারি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

এই প্রস্তাব অনুযায়ী তৎকালীন মেয়র জনাব আরিফুল হক চৌধুরী প্রকল্পটি অনুমোদন দেন এবং ১০ মে ২০২০ তারিখে কার্যাদেশ জারি করেন। ৩১ মে ২০২০ তারিখে একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

প্রতিষ্ঠানটি কাজ সম্পন্ন করে একটি পূর্ণাঙ্গ স্টাডি রিপোর্ট জমা দেয়, যেখানে প্রতিদিনের টোল আদায়ের সম্ভাব্য পরিমাণ, যানবাহনের গমনাগমনের হিসাবসহ প্রয়োজনীয় বিশ্লেষণ অন্তর্ভুক্ত ছিল। এ ছাড়া একটি স্বয়ংক্রিয় টোল সংগ্রহ সফটওয়্যার সরবরাহ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণও প্রদান করা হয়।

২০২৩ সালের আগস্টে কাজের বাস্তবভিত্তিক অগ্রগতি ও কার্যকারিতা যাচাই শেষে ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে একটি Completion Certificate প্রদান করা হয়।

পরবর্তীতে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ সড়ক বিভাগ থেকে মেয়রের স্বাক্ষরিত কার্যসম্পাদন সনদের সত্যতা যাচাইয়ের অনুরোধ জানানো হলে, যাচাই শেষে জানানো হয় যে সনদটি সঠিক ও যথাযথ নিয়মে ইস্যু করা হয়েছে।

সিটি কর্পোরেশন নিশ্চিত করেছে, প্রকল্পটি সম্পূর্ণভাবে CSR তহবিল থেকে বাস্তবায়িত হওয়ায় এতে তাদের কোনো আর্থিক সংশ্লিষ্টতা নেই। ফলে সংবাদমাধ্যমে উল্লিখিত “ভুয়া অভিজ্ঞতা সনদ” সংক্রান্ত অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ