শিরোনাম
সিলেট জেলা ডিবি’র অভিযানে ৭,৫৪,০০০ শলাকা ভারতীয় শেখ নাসিরুদ্দিন বিড়িসহ গ্রেফতার ০২ ডিবির অভিযানে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের আরও পাঁচ সদস্য গ্রেফতার ডা. জুবাইদা রহমান-এর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বৃক্ষ রোপন করলেন এমপি প্রার্থী সালমা নজির  গোয়াইনঘাটে বালু উত্তোলনের মহোৎসব দংশ গাছপালা ও ফসলি জমি  নবীগঞ্জের কাজীগঞ্জ বাজারে ভূয়া ডাক্তার তারেক গাজীর আবারও বেপরোয়া। জনমনে আতংক।  আহবায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে শরীয়তপুরে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল, সড়ক অবরোধ  গোয়াইনঘাটে চোরাকারবারি হোছন কতৃক ছায়াদ আলীর উপর হামলা : কোর্টে মামলা দায়ের আত্রাইয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ  বিনোদন প্রেমীদের পদচারণায় মুখোরিত নীলফামারী গ্রামীণ কুটিরশিল্প মেলা কুরবান নগর ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত
বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ০৫:০১ অপরাহ্ন

১৬ বছরের নির্দোষ ছেলেকে পুলিশ আটক করার খবর পেয়ে মা’য়ের হার্ট অ্যাটাক।

স্টাফ রিপোর্টার / ১১৯ Time View
Update : শনিবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৫

গোয়াইনঘাট(সিলেট)প্রতিনিধি;

সিলেটের গোয়াইনঘাট সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী নিরপরাধ মিনহাজ মিয়া (১৬) পুলিশের হাতে আটকের সংবাদ শুনে মায়ের হার্টএ্যাটাক হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, সিলেটের গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) রাতে অবৈধ ভারতীয় স্কুটারসহ সন্দেহ মূলক অভিযোগে ৩ জনকে আটক করে। পুলিশের এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন গোয়াইনঘাট থানার এসআই তরিকুল। এদিকে, মিনহাজ মিয়া নামক একজন ৯ম শ্রেণীর নিরপরাধ শিক্ষার্থীকে পুলিশ আটক করায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে এলাকায়।

ঘটনাস্তলে গেলে এলাকাবাসী জানান‘আমরা বার বার পুলিশকে বলেছি মিনহাজ নামক ছেলেটি নির্দোষ’!এ ছাড়া পুলিশ প্রথমে ২জনকে গ্রেফতার করে,পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর রেজওয়ান নামের ১ জনকে ছেড়ে দেয়।পরে স্থানীয়রা ঘটনায় জড়িত স্কুটির মালিক“শহিদ আহমদ”কে আটক করলে শহিদ নিজেই স্বীকারোক্তি দিয়ে বলেছে,”এই ভারতীয় স্কুটার আমার ,আমি নিজেই এই স্কুটার এনেছি, মিনহাজ নির্দোষ ,মিনহাজ এর সাথে জড়িত নয়।”

জানতে চাইলে গোয়াইনঘাট উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা গোলাম আম্বিয়া কয়েস জানান,তিনি সহ তার এলাকার একাধিক ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীরা মিনহাজকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে সুপারিশ করেন,পুলিশ তাদের এসপি স্যারের দোহাই দিয়ে এবং তাঁদের অফিসারদের মধ্যে চোরাচালানের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে মনমালিন্য থাকায় মিনহাজকে আর থানা থেকে ছাড়ানো যায় নি,পরে তাঁকে ভোর সকাল ৬টার দিকে ভিন্ন রাস্তা অবলম্বন করে পুলিশ মহড়ায় আদালতে সোপর্দ করা হয়। আটককৃতদের থানা পুলিশ শুক্রবার (৪এপ্রিল)ভোর সকালে তড়িঘড়ি করে আদালতে সোপর্দ করার বিষয়টি এলাকার অন্যান্য ব্যক্তিরাও নিশ্চিত করেন।

এদিকে, ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী নির্দোষ মিনহাজ আটকের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।অপরদিকে, মিনহাজের পরিবার নির্দোষ ছেলের মুক্তির দাবিতে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুনজর কামনা করেছেন এবং আওয়ামিলীগ দুষর ও চোরাচালান জুয়া মাদক ব্যবসায়ি চোর-ডাকাতদের সাথে জড়িত পুলিশ সদস্যদের দ্রুত অপসারণের দাবিও জানান এলাকাবাসী।

এবিষয়ে জানতে চাইলে এসআই তরিকুল ইসলাম বলেন,তাকে জিগ্যেসাবাদ করার জন্য থানায় এনেছিলাম,জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ছিলাম তার অভিভাবক সহ এলাকাবাসীকে চেষ্টাও করেছিলাম,কিন্তুু উপ-সহকারী অফিসারদের চাপের মুখে পড়ে তাকে তড়িঘড়ি করে ভোর সকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

গোয়াইনঘাট থানার ইন্সপেক্টর(তদন্ত) মাহমুদ হাসান বলেন,মিনহাজকে জিজ্ঞেসাবাদের আগেই এসআই তরিকুল এসপি স্যারকে দুইজন আটকের বিষয়টি অবগত করে ফেলার কারণে মিনহাজ নামের ছেলেটিকেও একি অপরাধে সংশ্লিষ্ট দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

গোয়াইনঘাট সার্কেলের এএসপি মো.সাহিদুল ইসলাম জানান,আমাদের অফিসার যেভাবে মেসেজ করেছে বিষয়টি ঐভাবেই আমাদের দেখতে হবে এর বাহিরে কিছু করার সুযোগ নেই,আদালতে প্রমাণ হবে নির্দোষ কি না।

 

 


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ