সাদুল্লাপুর(গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের বুজরুক জামালপুর গ্রামের পূর্বপাড়ায় সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উল-ফিতর উদযাপন করেছে ওই গ্রামের কয়েকটি পরিবারের সদস্যরা ও বহিরাগতরা।
রবিবার ৩০ মার্চ সকাল সাড়ে ৯ টায় উক্ত গ্রামের ও বাহির থেকে আসা শতাধিক নারী ও পুরুষ মুসুল্লী পূর্বপাড়া ঈদগাঁ মাঠে ঈদ-উল- ফিতরের জামাতে অংশগ্রহণ করে।
২০১০ সাল থেকে শুরু হওয়া এই ঈদ জামাত দীর্ঘ ১৫ বছরে পদার্পণ করলো।সৌদির আরবের সাথে মিল রেখে এ ঈদ জামাতে দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর পূর্বের ন্যায় আজ ৩০ মার্চ রবিবার এ ঈদ উদযাপন করছেন তারা।
নির্বিঘ্নে ঈদ উৎযাপন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নেয়া হয় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা। স্বশরীরিরে উপস্থিত ছিলেন ভাতগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাফুজার রহমান মাফু। এই গ্রামের আহলে হাদীস ( সহিহ হাদিস) সম্প্রদায়ের নারী পুরুষ ঈদগাঁ মাঠে হাজির হয়ে, উৎসব মূখর পরিবেশে ঈদের নামাজ আদায় করে ঈদ উৎযাপন করছেন।
এ ঈদ জামাতে অংশগ্রহণ করার জন্য পূর্বের দিন থেকে ও সকাল থেকে মোটরসাইকেল, ভ্যান যোগে জেলার ও জেলার বাহির থেকে আহলে হাদীস ( সহিহ হাদিস) সম্প্রদায়ের নারী পুরুষ ঈদগাঁ মাঠে হাজির হয়।
ঈদ-উল ফিতরের নামাজে ইমামতি করেন, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা ইসলামপুর গ্রামের মাওলানা লাইলাতুল কদর ইবনে আখির উদ্দিন তিনি বলেন, মধ্য প্রাচ্যের ৫৪ টি দেশের সাথে মিল রেখে আমরা রোজা রাখি এবং ঈদের নামাজ আদায় ও উৎযাপন করি। ২ রাকাত ঈদের নামাজ আমরা ১২ তাকবিরের সহিদ আদায় করি।খুদবা আরবি ও নিজ ভাষায় পেশ করে থাকি।আমরা কোন নামাজেই সম্মিলিত মুনাজাত বা দোয়া করি না।
নামাজ শেষে মুসুল্লিরা যথা নিয়মে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কোলাকুলি করেন।
নামাজ পড়তে আসা সিরাজুল ইসলাম বলেন, চাঁদের অবস্থান জেনে মক্কা মদীনা শরীফে তথা সৌদি আরবের বা মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে রোজা পালন শুরু করি এবং সেই অনুসারে নামাজ আদায় ও ঈদ উদযাপন করে থাকি। সৌদিতে চাঁদ দেখার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর আজ রবিবার (৩০ মার্চ )এক সঙ্গে ঈদ-উল- ফিতরের নামাজ আদায় করে ঈদ উদযাপন করছি।