নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিলেটের জাফলং-ভারত সীমান্তে জাতীয়তাবাদী যুবদল কর্মী জয়দুলের বিরুদ্ধে থানা পুলিশের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে।তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের জাফলং-ভারত সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে বিজিবি ও থানা পুলিশের সদস্যরা কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে ও থামাতে পারছেনা ।
পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের ভারত সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান ব্যবসার গডফাদার জাতীয়বাদী যুবদল কর্মী জয়দুলের নেতৃত্বে চলছে ভারতীয় চোরাচালান ব্যবসা।তার সঙ্গে রয়েছে ভারতীয় চোরাচালান ব্যবসায় জড়িত একটি সিন্ডিকেট।
ঐ সূত্র মতে,অবৈধ ভারতীয় পণ্য সামগ্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করতে জয়দুল বাহিনীর সদস্যরা ব্যবহার করছে প্রশাসনের নাম ।তারা থানা পুলিশ কিংবা স্তানীয় প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে চোরাকারবারীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায় করছে।
এখানে চোরাচালান ব্যবসা করতে বাংলাদেশে প্রবেশ এর স্থান হিসেবে জাফলং জিরো পয়েন্ট,সিঁড়ির ঘাট, সাইনবোর্ড, লাল মাটি, আম তলা, সোনা টিলা, তামাবিল স্থলবন্দর, তালতলা,আম স্বপ্ন, নলজুরী হতে জাফলং সীমান্তের সব কয়টি পয়েন্ট ব্যবহার করছে।
ভারতীয় চোরাচালান ব্যবসার কাজে জয়দুল বাহিনী কিংবা জয়দুল এর লাঠিয়াল বাহিনীতে ১৫০ থেকে ২০০জন লোক রয়েছে বলে জানা গেছে।
জয়দুল বাহিনীর সদস্যরা চোরাচালান ব্যবসার প্রসার ঘটাতে দেশীয় অস্ত্র রাম দা জিআই পাইব, লাঠি সোটা নিয়ে এলাকায় মোহড়া দিয়ে নিরীহ অসহায় সাধারণ মানুষের মধ্যে সবসময় আতংক ছড়াচ্ছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
জাফলং সীমান্তের চোরাকারবারীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রফা-দফার মাধ্যমে ভারতীয় অবৈধ চোরাচালান মালামাল বাংলাদেশে প্রবেশ করাচ্ছেন জয়দুল ও তার বাহিনীর সদস্যরা।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সীমান্ত এলাকার সচেতন মহল।
ভারত থেকে আসা চোরাচালানী পণ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চিনি,কিট, কসমেটিক, এলাছি গুঁড়া মসলা, জিরা, বাসমতি চাল,শাড়ি, থ্রিপিস, লেহেঙ্গা, থান কাপড়, কমলা, মাল্টা, মদ, ফেনসিডিল প্রভৃতি ।
এসব অবৈধ পন্য সামগ্রী বাংলাদেশ প্রবেশ করে জাফলং সীমান্ত এলাকা চোরাকারবারীদের চারণভূমিতে পরিণত হয়েছে বলে অনেকে অভিমত প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে,জয়দুল বাহিনীর সদস্যরা প্রতিবাদকারিদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে, হুমকি ধামকি দিয়ে এলাকার চোরাচালান ব্যবসা সচল রেখেছে।
এবিষয়ে জানতে চোরাচালান ব্যবসায়ী জয়দুলের মোবাইল ফোনে কল দিলে রিসিভ করে তিনি বলেন–” নিউজ করে কি হবে পূর্বে বহু্ত নিউজ হয়েছে তাতে কিছু হয়নি, এখনো কিছু হবে না। ” তিনি বলেন ,’বর্তমানে চলছে টুকটাক, চলুক, চললে সকলের সাথে যোগাযোগ করবো” বলে ফোন কেটে দেন।
এবিষয়ে জানতে গোয়াইনঘাট থানার ওসি সরকার তোফায়েল বলেন , কোনোরকম অবৈধ কর্মকান্ডের সাথে থানা পুলিশ জড়িত নয়। অপরাধের সাথে যে বা যারা জড়িত হবে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে,অবৈধ চোরাচালান ব্যবসা বন্ধে – চিহ্নিত জয়দুল ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রদক্ষেপ নিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এলাকার সচেতন নাগরিকেরা ।এ ছাড়া থানা পুলিশেরও এদিকে সু-নজর দেওয়ার জন্য এলাকার অনেকে মত প্রকাশ করেছেন।