কানাইঘাট প্রতিনিধি মুমিনুল ইসলাম মনিয়া
সিলেটে বড় ভাই মারা যাওয়ার ৬ দিন পর ডোবা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ছোট ভাইয়ের গলিত লাশ। পুলিশের ধারণা ৬ থেকে ৭ দিন আগে তার মৃত্যু হতে পারে। দুই ভাইয়ের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার বড়চতুল ইউনিয়নের নয়াগ্রাম ব্রিজের পাশে একটি ডোবা থেকে জারিফ আহমদ (৮) নামে শিশুর গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত জারিফ জৈন্তাপুরের নিজপাট ইউনিয়নের সারীঘাট চৈলাখ গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে।
এ ব্যাপারে কানাইঘাট থানার ওসি মো. আব্দুল আউয়াল বলেন, শিশু জারিফ শারীরিক প্রতিবন্ধী ছিল; হাঁটাচলা করতে পারত না। ধারণা করা হচ্ছে, তার লাশ কেউ এখানে ফেলে পালিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, লাশটি সপ্তাহখানেক আগের তাই শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে কিনা বোঝা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে বিস্তারিত জানা যাবে।
এদিকে জারিফের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলমের (২৩) লাশ ১৬ মার্চ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করা হয়। তিনি গুরুতর আহত হয়ে মৌলভীবাজার জেলা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
এ ব্যাপারে জৈন্তাপুর থানার ওসি আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, জাহাঙ্গীর ও জারিফের বাবা আরেকটি বিয়ে করে অন্যত্র বাস করছেন। জাহাঙ্গীর মানসিক ভারসাম্যহীন আর জারিফ শারীরিক প্রতিবন্ধী। কয়েক দিন আগে জাহাঙ্গীর তার ছোট ভাই জারিফকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। পরে জাহাঙ্গীরকে জৈন্তাপুরের চিকনাগুলে অসুস্থ অবস্থায় পাওয়া যায়। কিন্তু তার ছোট ভাইকে পাওয়া যায়নি।
জাহাঙ্গীরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু সেখান থেকে তিনি উধাও হয়ে যান। পরে জানা যায়, মৌলভীবাজারে তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। সেখান থেকে অজ্ঞাত এক সিএনজি অটোরিকশাচালক ও কিছু লোক তাকে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ১৬ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জাহাঙ্গীর।
পরে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ দাফন করা হয়। এ ঘটনার ৬ দিন পর শুক্রবার জারিফের লাশ উদ্ধার হলো।