নিজস্ব প্রতিবেদক:
হামজা চৌধুরীর আগমনে দেশের ফুটবলে অঙ্গনে আনন্দের ঢেউ বইছে। সোমবার (১৭ মার্চ) সিলেটে পৌঁছেই তিনি চলে গেছেন হবিগঞ্জের বাহুবলের স্নানঘাট গ্রামে। তার গ্রামের বাড়িতে লোকে লোকারণ্য। হামজার আগমনে স্নানঘাটসহ পুরো জেলায় বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। তিনি বাড়িতে পৌঁছালে এলাকাবাসী তাকে বরণ করে নেন নানান আয়োজনে।
সন্ধ্যায় বাড়ির উঠানে হয়েছে ফুটবলার হামজার সংবাদ সম্মেলন। সেখানে সিরিয়াস কিছু প্রশ্নের ভিড়ে হালকা মেজাজের প্রশ্নও হলো। কখনো ইংলিশ উচ্চারণের ইংরেজি কখনো সিলেটি ভাষায় উত্তর দিলেন হামজা। সাংবাদিকেরা বারবার অনুরোধ করছিলেন বাংলায় উত্তর দিতে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের একপর্যায়ে হামজা বললেন, ‘আমার শুদ্ধ ভাষা বেশি ভালা না।’ যেহেতু পিয়ানো বাজাতে পছন্দ করেন, বাংলা গান জানেন কি'না এমন প্রশ্নও হলো। হামজা হাসি মুখে বললেন, ‘খুব বেশি বাংলা গান হুনছি না। আমার সোনার বাংলা পারি।’
তাঁকে নিয়ে মানুষের যে উন্মাদনা, ভক্ত-সমর্থকদের উদ্দেশে হামজা বললেন, ‘সবার ভালোবাসি। আমি ও আমার পরিবারের প্রতি অনেক রেসপেক্ট শো করছে, ইনশা আল্লাহ প্রতিদান দেব।
হামজার গ্রামের বাড়ি আসা এবারই প্রথম না, এর আগেও বেশ কয়েকবার মা-বাবার সঙ্গে গ্রামে এসেছেন। তবে এবার আসছেন প্রায় ১১ বছর পর। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, গ্রামের বাড়িতে একদিন থাকবেন হামজা। কাল ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। আর ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচ খেলতে ২০ মার্চ দলের সঙ্গে শিলংয়ের যাওয়ার কথা হামজার।
ভারতকে এবার হারানোর ঘোষণা দিয়েছেন হামজা। সকালে সিলেটে পৌঁছেই বলেছেন, ‘ইনশা আল্লাহ, আমরা উইন খরমু।’ আর সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমরা ইন্ডিয়া নিয়ে ভাবছি না। আমরা খালি আমরার কথা ভাবছি। দেখা হইবনে. . ।’ তাঁর মতো ফুটবলারে সওয়ার হয়ে বাংলাদেশ ফুটবল কি স্বপ্ন দেখতে পারে একদিন বিশ্বকাপ খেলার? কঠিন প্রশ্ন। তবু হামজা আশার কথা শুনিয়েছেন, ‘ইনশা আল্লাহ, ধীরে ধীরে এক এক করে। যেকোনো কিছু সম্ভব।’ বাংলাদেশের হয়ে ৮ নম্বর জার্সি পরে খেলবেন হামজা।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ নিজাম উদ্দিন, নির্বাহী সম্পাদক : আইয়ুব আলী অফিস ; খান কমপ্লেক্স, সোনারপাড়া, শিবগঞ্জ, সিলেট। যোগাযোগ : প্রকাশক ও সম্পাদক : ০১৭৩৭-৩০৪৭৫১। ই-মেইল : sylhetbuletin@gmail.com
All rights reserved © 2025 sylhet buletin