দোয়ারাবাজার সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের শিবপুর নুরে মদিনা মাদরাসা ঝড়ের তান্ডবে লন্ডবন্ড হওয়ায়, পাঠদান নিয়ে শংষ্কায় রয়েছেন শিক্ষার্থীরা এদিকে মাদরাসা শিক্ষার্থীরা মাদরাসার সামনে খোলা আকাশের নীচে ক্লাস করছে।
স্থানীয় সূত্র ও শিক্ষকদের দাবি সামনে ঝড়বৃষ্টি দিন দ্রুত সময়ের মধ্যে মাদরাসাটি মেরামত ও তৈরি না হলে বর্ষা মৌসুমে মাদরাসার শিক্ষার্থীরা তাদের ক্লাস নিয়ে শংষ্কায় রয়েছেন। ১৫ মার্চ রাত ১১ টায় প্রচন্ড বেগে ঝড়ে আঘাত আনলে মাদরাসাটির পাশাপাশি টেবিল, চেয়ার,ও ঘরের টিন গুলো খন্ড বিখন্ড হয়ে যায় এতে মাদরাসার ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়। স্থানীয় দানবীয় হাজী আব্দুল জলিল এর দান সহায়তায় ২০২০ সালে মাদ্রাসাটি স্থাপিত হয়। সেই থেকে অতি সুনামের সহিত মাদ্রাসার পাঠদান ও পড়াশোনা করে আসছে শিক্ষার্থীরা।
বর্তমানে মাদ্রাসাটি স্থানীয় বিত্তশালী ও দানশীল ব্যাক্তিদের দানে চলছে মাদ্রাসাটি।বর্তমানে মাদ্রাসায় ১১ জন শিক্ষক ও ৩৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।
শিক্ষার্থী আদিলুর রহমান ফারহান বলেন, আমাদের প্রিয় প্রতিষ্ঠানটি ঝড় তুফানে ভেঙে যাওয়ায় ক্লাস করতে কষ্ট হচ্ছে। বাধ্য হয়ে আমরা খোলা আকাশের নীচে ক্লাস করছি। দ্রুত মাদ্রাসাটি নির্মান করে পড়ালেখার সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানাই।
শিবপুর গ্রামের আইয়ুব আলী জানান, অনেক কষ্টে গড়া মাদ্রাসটি ঝড়ের কবলে পড়ে তছনছ হয়ে গেছে। এখন খোলা আকাশের নীচে পড়াশুনা হচ্ছে। এ অবস্থায় পড়াশুনা চলতে পারেনা। তাই সরকারের পাশাপাশি বিত্তবানদের মানবতার হাত বাড়িয়ে পাশে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক, মো. সালাতুর রহমান জানান, ঝড় তুফানে নুরানি মাদ্রাসাটি ভেঙে যাওয়ায় খোলা আকাশের নীচে ক্লাস নিতে হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে যেমন সমস্যা হচ্ছে তেমনি শিক্ষকদেরও পাঠদান করাতে কষ্ট হচ্ছে। এভাবে চললে শিক্ষার্থীরা ক্লাস থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। তাই প্রশাসনকে দ্রুত নুরানি মাদ্রাসাটি নির্মান করে দিতে আহবান জানান তিনি।
দোয়ারাবাজার উপজেলার নির্বাহি কর্মকর্তা নেহের নিগার তনু বলেন, ঝড়ে প্রতিষ্ঠানটি ক্ষতি হয়েছে কিংবা খোলা আকাশের নীচে পাঠদান হচ্ছে বিষয়টি দুঃখ জনক। মাদ্রাসা কতৃপক্ষ ও স্থানীয় লোকজন যোগাযোগ করলে সাধ্যমত সরকারি সহায়তা করার চেষ্টা করবো।