শিরোনাম
সিলেট সীমান্তে ম র ছে মানুষ, নেপথ্যে কী? জলমহাল লু টে র অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার পদ স্থগিত প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে এসে ধ র্ষ ণে র শিকার তরুণী সিলেটে পাথর-বালু কোয়ারি গুলোতে পাথর-বালু প্রকাশ্যে লুট সিলেটের কানাইঘাটের সীমান্তবর্তী লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চোরাকারবারী চক্রের গডফাদার কুখ্যাত হাছন আহমদ লক্ষ্মীপুরে ১০ লাখ টাকার মালামাল জব্দ ও সিলগালা পাঁচদিন ধরে খোঁজনেই এডিসি রাশেদুলের ঢাকা সাভার আশুলিয়ায় কিশোরী কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ, সৎ বাবা গ্রেফতার “ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের ছত্রছায়ায় প্রাণঘাতী ঔষধে বাজার সয়লাব ছাতকে সেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি গ্রেপ্তার 
শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ১০:৪০ পূর্বাহ্ন

তোয়াকুল বাজার বোরকা রুহুলের প্রতারনা ও ক্ষমতাবাজিতে অতিষ্ঠ

স্টাফ রিপোর্টার / ২১ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫

গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি:

গোয়াইনঘাট উপজেলার তোয়াকুল বাজার এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা আওয়ামীলীগ নেতা বোরকা রুহুলের প্রতারনা ও ক্ষমতাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। আওয়ামীলীগ ক্ষমতা থেকে পলায়ন করলে এখন ও রুহুল ওরফে বোরকা রুহুল প্রতারক রুহুল এখনো ক্ষমতাবাজি দেখাচ্ছে বহাল তবিয়তে। বোরকা রুহুলের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী এলাকা বাসী অনেকের এমন বহু রকমের কষ্টের অভিযোগ ও ক্ষোভ দীর্ঘদিন থেকে। কে সেই বোরকা রুহুল ওরফে প্রতারক রুহুল? রুহুলের বাড়ি স্থানীয় পাইকরাজ গ্রামে। বিএনপির বেলাল মেম্বারের চাচা বোরকা রুহুল। অপরদিকে জামায়াত নেতা মাওলানা নজরুল ইসলামের সহোদর এই প্রতারক রুহুল। প্রতারনা ও ক্ষমতাবাজি তার একমাত্র আয়ের উৎস। সিলেটের আলহামরার ডাইরেক্টর আব্দুল কাইয়ুম  জানান, কয়েক বছর আগে একদিন হঠাৎ করে এসে প্রতারক রুহুল কৌশলে প্রতারনা করে লক্ষাধিক টাকা তার হাতিয়ে নিয়েছে । অথচ, এর আগে তিনি প্রতারক রুহুলকে মোটেও চিনতেন না। এলাকার স্হানীয় প্রবীন ব্যক্তি মানিক হাজীকে প্রতারনা করে এই প্রতারক রুহুল লুটে নিয়েছে। মহিলা সেজে বোরকা শরীরে চলাফেরা অবস্থায় ধরা পড়লে তখন থেকে এলাকার সবাই তাকে বোরকা রুহুল ডাকেন। এভাবে জালিয়াতি ও নানা রকম প্রতারনায় জড়িত এই সন্ত্রাসী এলাকায় ক্ষমতাবাজি প্রতিষ্ঠিত করতে সে সিলেট মহানগর শ্রমিকলীগের সহ সভাপতি তোয়াকুল বৌলগ্রামের ফয়েজ আহমদ কে কয়েক বছর আগে মেরে ফেলার মত কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। ভাগ্যজোরে অনেক দিন ঢাকায় চিকিৎসা পরে ফয়েজ সুস্থ হন। তোয়াকুল গরুবাজার দখলে নিয়েছে এই বোরকা রুহুল। তার ভাতিজা বেলাল মেম্বারের নামে কাগজ পত্র প্রদর্শন করে। তোয়াকুল বাজার থেকে দূরে পাইকরাজ প্রাইমারী স্কুল সংলগ্নে ও স্টেশন সংলগ্ন জমিতে বসায় গরু হাট। এতে পরিবেশ ও রাস্তা ঘাট মারাত্মক রকম বিব্রতকর এবং ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা তৈরী হয়। ভারত থেকে চোরাই পথে আসা গরু সব এই হাটে নিয়ে আসতে সে বাধ্য করে ব্যবসায়ীদেরকে,এমন অভিযোগ রয়েছে। পাইকরাজ নিজ গ্রামের স্কুল মাঠে প্রতি সপ্তাহে অবৈধ ভাবে ৪দিন ভারতীয় অবৈধ গরুর হাট বসায়। গ্রামবাসীর অভিযোগ হচ্ছে, পরিবেশ নষ্ট, অন্যদিকে গরু ভর্তি পিকাপ গাড়ির কারণে রাস্তায় চলাফেরা ও স্কুল কলেজে ছাত্র/ছাত্রীদের যাতায়াত বেহাল রকম পরিস্থিতি বিরাজ করলেও ভয়ে কেউ কিছু বলতে সাহস পাচ্ছেন না। কখনো পুলিশ পরিদর্শনে গেলে নিরব ভূমিকা পালন করে গরু বাজার থেকে ভাগ পায় বলে। এমন অভিযোগ রয়েছে সরেজমিনে গরুর মালিকদের কাছ থেকে জানা যায়, ইজারাকৃত রশিদের মাধ্যমে প্রতিটি গরু কিংবা মহিষ বাবত পাঁচশত টাকা লিখা থাকলেও অলিখিত ভাবে পশুর ক্রেতাদের কাছ থেকে প্রতিটি গরু / মহিষ ছোট-বড় আকার ভেদে ২ হাজার থেকে ২৫’শ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে । আর রাস্তায় পুলিশি ঝামেলায় পড়বেনা এই কথা বলে রুহুল আমিন পুলিশের নামে গাড়ি প্রতি ১৫’শ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত জমা রাখছে । এ ব্যাপারে ফোনে জানতে চাইলে তোয়াকুল ইউনিয়নের পাইকরাজ গ্রামের বাসিন্দা ৬ নং ওয়ার্ড মেম্বার বিল্লাল উদ্দিনে গণমাধ্যম কে বলেন, আমি বাজারের ইজারা এনেছি। গরু কোনটা ভারত থেকে আসলো আর কোনটা বাংলাদেশের সেটা দেখার দায়িত্ব আমার নয়। ভারতীয় গরুর কানে হলুদ রঙ্গের ট্যাগ ঝোলানো প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ” আপনি আমাকে বলে দেন যে ভারতীয় গরুর কানে কি দিবো আর এসব নিউজ করে কোন লাভ হবে না কারণ থানা পুলিশ আমাদের ম্যানেজ করা আছে। জানা যায়, বোরকা রুহুল ও বেলাল মেম্বার গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের সিও লুৎফুর রহমানের আত্নীয় এবং সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম চৌধুরী (হাচৌ হাজী)র ঘনিষ্ঠ লোক। গোপনে ব্যবসায়ী সম্পর্ক রয়েছে বলে স্থানীয় জন সাধারণে কানাঘুষা রয়েছে। এসব ব্যাপারে জানতে বিল্লাল উদ্দিন মেম্বারের চাচা বোরকা রুহুলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ভারতীয় গরুর বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন এসব নিয়ে নিউজ করে কি করবেন ,আমার এলাকায় আপনার দাওয়াত রইলো একদিন আসবেন নতুবা আমি আপনাদের অফিসে এসে একসঙ্গে চা খাব। এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার সালুটিকর তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন আপনারা একদিন আসেন ।পুলিশের নামে চাঁদাবাজির বিষয়টি আমার জানা নেই আপনারা আসলে আমরা আপনাদের সাথে নিয়ে গরুর গাড়ি আটক করবো। উক্ত বিষয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রতন কুমার অধিকারীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন , নতুন এসেছি বিষয়টি অবগত নই । আপনি যেহেতু বলছেন আমি খোঁজ নিয়ে অবশ্যই এর ব্যাবস্থা নেব। কিন্তু প্রশ্ন হলো গোয়াইনঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রতন কুমার অধিকারী,এই বক্তব্য একাধিকার দিয়েছেন , যে আমি নতুন এসেছি বিষয়টি দেখবো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ