সিলেট বুলেটিন ডেস্ক
গ্যাস সংকটে দীর্ঘ ১৩ মাস বন্ধ থাকার পর ফের ইউরিয়া উৎপাদনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে জামালপুরের সরিষাবাড়ীর তারাকান্দি যমুনা সার কারখানায়।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে ইউরিয়া উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করে কারাখানা কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যমুনা সার কারখানার উপ-প্রধান প্রকৌশলী (রসায়ন) ফজলুল হক।
কারখানার সুত্রে জানা যায়, ১৯৯১ সালে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দিতে প্রতিষ্ঠিত হয় যমুনা সারকারখানা।
বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প সংস্থা (বিসিআইসি) নিয়ন্ত্রণাধীন কেপিআই-১ মানসম্পন্ন যমুনা সার কারখানাটি প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে দৈনিক ১ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া উৎপাদন করে আসছিল। কারখানার নিরবিচ্ছিন্ন উৎপাদনের জন্য দৈনিক ৪২-৪৩ পিএসআই গ্যাসের প্রয়োজন। গ্যাসের চাপ স্বল্পতা ও বিভিন্ন ত্রুটির কারণে উৎপাদন কমে বর্তমানে ১ হাজার ২০০ মেট্রিন টন ইউরিয়া উৎপাদন হয়। সম্প্রতি ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কম্পানিতে সার উৎপাদন নিরবিচ্ছিন্ন রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিসিআইসি।
এ জন্য সেখানে পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে যমুনা সার কারখানায় গত ১৫ জানুয়ারি থেকে গ্যাসের চাপ কমিয়ে দেয় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন আন্ড ডিস্ট্রিবিউশর কম্পানি। এর পর থেকেই যমুনায় ইউরিয়া উৎপাদন বন্ধ থাকে।
এদিকে ১৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকে গ্যাসের চাপ পুনরায় বৃদ্ধি করলে ইউরিয়া উৎপাদনের কার্যক্রম শুরু করা হয়। তবে যন্ত্রাংশের কিছুটা মেরামত করে অ্যামোনিয়া ও ইউরিয়া পুরোপুরি উৎপাদনে যেতে ৫-৭ দিন সময় লাগবে বলে জানা গেছে।
কারখানার মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) দেলোয়ার হোসেন বলেন, গ্যাস সংকটে গত বছরের ১৫ জানুয়ারি থেকে যমুনাতে ইউরিয়া উৎপাদন বন্ধ। বৃহস্পতিবার থেকে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন আন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি গ্যাসের চাপ বাড়িয়ে দিলে উৎপাদনের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। পুরোপুরি উৎপাদনে যেতে সপ্তাহ খানেক সময় লাগবে।