সিলেট বুলেটিন ডেস্ক
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) বৈষম্যমূলক পোষ্য কোটা বাতিল ও ন্যায়সঙ্গত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ৫ দফা দাবি উত্থাপন করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারী) ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের প্রচার সম্পাদক মো: মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
স্মারকলিপিতে উল্লিখিত দাবিসমূহ হলো :১. বৈষম্যমূলক পোষ্য কোটা বাতিল: ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে বিদ্যমান বৈষম্যমূলক পোষ্য কোটা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
২. সহিংসতায় জড়িতদের বহিষ্কার: নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিংবা জুলাই আন্দোলনে সহিংসতায় জড়িত শিক্ষার্থীদের স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে।
৩. ফ্যাসিবাদের সহযোগী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা: যে সকল শিক্ষক এখনো ফ্যাসিবাদের নীলনকশা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে।
৪. শিক্ষক ও কর্মকর্তা নিয়োগে অগ্রাধিকার : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।
৫. ত্রিবার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনা: বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ত্রি-বার্ষিক পরিকল্পনা গ্রহণ ও তা শিক্ষার্থীদের কাছে পেশ করতে হবে।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান আশিক বলেন,"জুলাই বিপ্লবের পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা বিদ্যমান থাকাটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক। এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের এখন পর্যন্ত কার্যকরী কোন পদক্ষেপ না নেয়াটা হতাশা জন।
অনেক শিক্ষকের এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ত থাকা এবং প্রশাসন এখানে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করাটা আমাদের বেদনাদায়ক। কেননা এই প্রশাসনকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্ররাই নিয়ে এসেছিল।"
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আব্দুল ওয়াহীদ এবং সহ সভাপতি মোফাচ্ছেল হোসাইন সৈকত ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ নিজাম উদ্দিন, নির্বাহী সম্পাদক : আইয়ুব আলী অফিস ; খান কমপ্লেক্স, সোনারপাড়া, শিবগঞ্জ, সিলেট। যোগাযোগ : প্রকাশক ও সম্পাদক : ০১৭৩৭-৩০৪৭৫১। ই-মেইল : sylhetbuletin@gmail.com
All rights reserved © 2025 sylhet buletin