জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে পুলিশী প্রহরায় চিকিৎসাধীন থাকা ডাকাত জালাল মিয়া (৩২) পালিয়ে গেছে।
শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) ভোরে হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ড থেকে সে কৌশলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় জেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে দায়িত্বরত দুই পুলিশ কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সাথে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
হাসপাতাল থেকে ডাকাত পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন শায়েস্তাগঞ্জ থানার (ওসি) দিলীপ কান্ত নাথ।
পালিয়ে যাওয়া ডাকাত জালাল মিয়া মাধবপুর উপজেলার চন্দনপুর গ্রামের রুবেল মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শায়েস্তাগঞ্জে রাফি স’মিল এলাকায় ডাকাতদলের হামলায় নিহত হন ব্যবসায়ী মহসিন মিয়া। পরবর্তীতে ঘটনায় শায়েস্তাগঞ্জ থানা একটি মামলা হলে বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) ৫ ডাকাতকে আটক করা হয়। এর মধ্যে জালাল মিয়া আহত হলে তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার ভোরে ডাকাত জালাল মিয়া বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে কৌশলে পালিয়ে যায়। ডাকাত জালাল মিয়া পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই বিষয়টি তোলপাড় সৃষ্টি হয়। যদিও পুলিশ বলছে- তাকে ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাড়াষি অভিযান চালাচ্ছে।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এ.এন.এম সাজেদুর রহমান বলেন, ঘটনার পরপরই দায়িত্বরত দুই পুলিশ কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তের জন্য হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. শহীদুল হক মুন্সীকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া আসামীকে ধরতে পুলিশ নিরলসভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।